

ফাহাদুল ইসলাম, সোনারগাঁ : “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। ৩ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মেলা চললেও গতকাল ৯ আগষ্ট ছিল মেলার শেষ দিন। কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই উদ্বোধন ও সমাপ্তি হয় এ মেলার।
জানা যায়, যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মেলার আয়োজন সে মেলার বিষয়ে জানানো হয়নি কোন জুলাই যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারকে। এমনকি কাউকে চিঠি কিংবা মৌখিকভাবেও জানানো হয়নি বলে জানা যায়। ছিল না কোন প্রচার প্রচারনা।
এ বিষয়ে কথা হয়, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়ক ও এনসিপির সোনারগাঁ উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক শাকিল সাইফুল্লাহ সাথে। তিনি জানান, যাদের উদ্দেশ্য কিংবা সম্মানে এ আয়োজন তারাই জানে না এটা জুলাই যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কি হতে পারে। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। আমরা মনে করি আমাদের পাশ কাটিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান সরকারি অর্থে কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জন ছাড়া আর কিছুই না।
সোনারগাঁয়ের সন্তান এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে কারুশিল্প মেলা অথচ আমাদের চিঠি কিংবা মৌখিকভাবেও জানানো হয়নি বিষয়টি অত্যন্ত পরিতাপের। তাছাড়া সোনারগাঁয়ে তিনটি শহীদ পরিবার আছে তাদেরকেও জানানো হয়নি। জুলাইয়ের চেতনা বিক্রি করে কাউকেই লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই বিগত সরকারের দোসর। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে মনেপ্রাণে গ্রহন করতে পারেননি। সরকারি অর্থ লুটপাট করতেই নানা ফন্দী ফিকির তৈরি করে।
এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা তাঁদের কাছে নেই। তাছাড়া আয়োজনটি এত বড় আকারে হয়নি তো সকলকে জানানো হয় নাই সামনে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব করা হবে সেখানে সকলকে দাওয়াত দেওয়া হবে।