ইবিতে জুলাই-৩৬ পরেও আবার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

Share the post
ইবি প্রতিনিধি:বৈষম্য যেন শিক্ষার্থীদের পিছু ছাড়ে না। কোটা আন্দোলনের বছর পার না হতেই আবারও কোটা ফিরেছে নতুন রূপে। তাই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় সকল প্রকার অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া অন্য সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘কোটার প্রহসন দূর করতে হবে’, ‘প্রশাসন কি আবারো রক্ত দেখতে চায়?’, ‘এই কোটার জন্যই কি রক্ত ঝরালাম?’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে’, ‘রক্তাক্ত জুলাই এর সাথে বেইমানি’, ‘কাদের স্বার্থ রক্ষায় এখনো কোটা’ ও ‘কোটা বিলুপ্তিতে আবারো রক্ত দেব’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানবন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, শিক্ষার্থী নূর হোসাইন আল রিফাতসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার কোটা বন্ধের যৌক্তিক দাবি জানানোর পরেও বর্তমান প্রশাসন কেন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? প্রশাসন কি এতটাই অযোগ্য ও দুর্বল যে এমন একটি অনৈতিক কোটা প্রথা বিলুপ্ত করার সাহসটুকুও তাদের নেই? নাকি কোটার মতো এই বাটপারি পদ্ধতির সুবিধাভোগী কোনো শক্তিশালী চক্রের কাছে তারা জিম্মি? তাদের এই রহস্যজনক ভূমিকা আজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে তীব্র ক্ষোভ ও অনাস্থার জন্ম দিয়েছে। অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক কোটা বাতিল না করলে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘আমাদের জুলাই অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। কিন্তু এতগুলো ভাইয়ের শাহাদাত বরণের পরেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে কোটা প্রথা বহাল থাকে? আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল ধরনের কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাই। যদি সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিল করা না হয় তাহলে আগামীদিনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
প্রসঙ্গত, গুচ্ছ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ ভাবে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য ৭ ধরনের কোটা নির্ধারণ করেছেন ইউজিসি। কোটা সমূহ হচ্ছে:
১. মুক্তিযোদ্ধা কোটা (FFQ)
২. প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোটা (PDQ)
৩. ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি/উপজাতি কোটা (SEQ)
৪. জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা (JASF)
৫. বিকেএসপি/খেলোয়ার কোটা (BKSP)
৬. পোষ্য কোটা (WQ)
৭.হরিজন ও দলিত কোটা (HDQ)
৮. নন-ট্রাইবাল (পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা) রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদালয়ের জন্য প্রযোজ্য (NTQ).

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইবি কর্তৃপক্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা

Share the post

Share the postশারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মাবলম্বী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল হক এক যৌথ শুভেচ্ছা […]

রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. এনামুল হকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জিয়া পরিষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ শাখা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০ […]