

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর পশুর হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরুর তুলনায় সেগুলোর দামও বেশি।
সরেজমিনে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে উপজেলার গরুর হাট ঘুরে দেখাগেছে, সকাল থেকেই কোরবানির হাটে আগ্রহী ক্রেতারা পশু কেনার জন্য ভিড় করতে শুরু করেন। ক্রেতারা প্রতিটি গরু, ছাগল বা কোরবানির পশু পরিদর্শন করে দামদর ঠিক করছেন। দামে পড়লেই ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের কোরবানির পশুটি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চরভদ্রাসনে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫০০টি। অথচ প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ৪১০টি পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ৩ হাজার ৭০০টি, গাভী ৫০০টি, মহিষ ১০টি, ছাগল ১০ হাজার ৫০০টি ও ভেড়া ৭০০টি। বলদ ও অন্যান্য শ্রেণির পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম জানান, গরুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোরবানির পশুর মাঝে তেমন কোনো রোগ বালাইয়ের খবর আমাদের কাছে নেই।
চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রোজিউল্লাহ খান বলেন, সকাল থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত পশুহাট থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ওই হাটে থাকবে এবং টহল দিবে।