

মিলন বৈদ্য শুভ,রাউজান চট্রগ্রাম:রাউজান উত্তর আধারমানিক শান্তি সমিতির আরাধ্য বিগ্রহ শ্রীশ্রী রাধামদনমোহন জীউ’র ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী স্মরণে তিনদিন ব্যাপী মহোৎসবের প্রারম্ভিক দিন ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় বিভিন্ন গীতা স্কুলের অংশগ্রহণে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে শুরু হয়।
গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন রাউজান দাশপাড়া অখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, সংগঠক শ্রী দীপক কুমার দাশগুপ্ত ও শ্রীশ্রী রাধামদনমোহন গীতা বিদ্যাপীঠের প্রশিক্ষক, গীতাপ্রাণ শ্রী মিথ্যুন্ঞ্জয় চৌধুরী । উৎসব উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা গোপাল দেবনাথ ও রিপন দে’র সঞ্চালনায় এ আয়োজনের পর উপস্থিত সকল ভক্তের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনে নৃত্য ও ভজন সংগীতানুঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশনের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী প্রীতম ভট্টাচার্য, শ্রেয়া ঘোষ ও সাড়া জাগানো ক্ষুদে শিল্পী সৃজিতা দে সৃজা। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শ্রীশ্রী রাধামদনমোহন জী’উর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা, মহানুভব শ্রী সুধীর রঞ্জন চৌধুরী স্মরণে ‘ভক্ত বিরহ’ শীর্ষক ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতি ও মন্দির পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সভাপতি শ্রী রনজিত বিশ্বাস মহোদয়ের পৌরহিত্যে উক্ত সভায় আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চট্টেশ্বরী রোডস্থ শ্রীশ্রী কৃষ্ণগোপাল জী’উর মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীল কৃষ্ণদাস বাবাজী মহারাজ, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত ধর্মতত্ত্ববিদ, চণ্ডীতীর্থ মেধা আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, আশালতা কলেজের অধ্যক্ষ শ্রী জনার্দন কুমার বণিক, প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শ্রী মনোজ কুমার দেব ও ইউ এস টিসি মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার মজুমদার। উৎসব উদযাপন পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক রাজীব বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তর আধারমানিক শান্তি সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করেন সংগঠনের সহ সভাপতি শ্রী অচ্যুত কুমার বিশ্বাস নান্টু ও প্রচার সম্পাদক শ্রী শিবু খাস্তগীর। সভায় বক্তারা শ্রী সুধীর রঞ্জন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের মধ্যে তাঁর পরহিতব্রত ও ধর্মীয় চেতনার দিকে আলোকপাত করার পাশাপাশি তাঁর আদর্শ লালন করে প্রতিষ্ঠানের সৌরভ দিকে দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে নিজেরা ধর্মীয় মূল্যবোধে জাগ্রত হয়ে অন্যদের জাগ্রত করার আহ্বান জানান। ধর্মীয় আলোচনা সভা শেষে গীতাপাঠ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়। মহতী অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাসের পৌরহিত্য করেন শ্রীল কৃষ্ণদাস বাবাজী মহারাজ। সহযোগিতায় ছিলেন মন্দিরের সেবায়েত শ্রীল দামোদর দাসজী।
শুভ অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন অধ্যাপক শ্রী রাজীব বিশ্বাস। মহাপ্রসাদ প্রসাদ আস্বাদনের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের শুভ সমাপ্তি ঘটে।
১৯ শে মার্চ মহানাম নামযজ্ঞ সংকীর্তনের পাশাপাশি মধ্যাহ্ন ও রাতে অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
২০ শে মার্চ মধ্যাহ্নে সপার্ষদ শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ভোগরাধনা ও চৌষট্টি মোহান্তের ভোগ প্রসাদ আস্বাদন মোহান্ত বিদায়। দধিভাণ্ড ভঞ্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সমাপ্তি ঘটবে।
অবশিষ্ট আয়োজনে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য বিনম্র নিবেদন ও নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন উৎসব উদযাপন পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মহতী মহোৎসবে দূর দূরান্ত হতে আগত হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ সমবেত হয়।