প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আইন বিভাগে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
নোমান বিন খুরশীদ (চট্টগ্রাম):
মানুষ হিসেবে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ ছড়িয়ে দেয়া ও পরিবেশ সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি সচেতন করার উদ্দেশ্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৩৪ তম ব্যাচের ‘পরিবেশ আইন’ এর শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু দূষণ, টেকসই উন্নয়ন , জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টা, প্লাস্টিক দূষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণে বিশ্বব্যাপী চলমান সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ৮ মার্চ রবিবার নগরীর হাজারী লেইনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ক্যাম্পাসে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন মিসেস তানজিনা আলম চৌধুরী।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব আহমদ রাজীব চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আইন গবেষক ডঃ এস এম মহিউদ্দিন হাসান, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক হিল্লোল সাহা, মেহেরুন্নেসা বেগম, তাহমিনা সানজিদা সাহিদ, জাবেদ আরাফাত, সুরিনা তারজিদসহ প্রমুখ। দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে অতিথিরা তাদের পরিবেশ ভাবনা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা না করা গেলে মাটি ও মানুষের যে চিরন্তন সম্পর্ক সেটা আর টিকবে না। বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলস্বরূপ আমরা জানতে পেরেছি, মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে বিশ্বজুড়েই পরিবেশ মানুষ এবং প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। যে জন্য গবেষকরা বেশি দায়ী করছেন উন্নত দেশগুলোকে, যারা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে যাচ্ছেতাইভাবে পরিবেশের উপর আধিপত্য দেখাচ্ছে। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। আর এর পেছনে মানুষের অরাজকতা, অসচেতনতা এবং লোভই সর্বাংশে দায়ী। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে বর্তমান প্রজন্মকে একটি পরিবেশবান্ধব জীবনাচরণ গ্রহণ করতে হবে।সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহনে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী নামক এই গ্রহকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’। অভিনন্দন ৩৪ ব্যাচ, আইন বিভাগ,প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি… আজকের সফল আয়োজনের জন্য।পরিবেশ আইনের কোর্স শিক্ষক হিসেবে এই আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে নিজে ঋদ্ধ হয়েছি।”