নেত্রকোনায় পৌরপ্রশাসক আরিফুল ইসলাম সরদারের তৎপরতায় বেড়েছে সেবার মান
সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা : পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম সরদার পৌরসভা প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর পাল্টে গেছে পৌরসভার চিরচেনা চিত্র। বেড়েছে নাগরিক সেবার মান। কাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসায় অতিরিক্ত দায়িত্বপালনেও স্বস্তির নি:শ্বাস নিচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অফিস সূচির বাইরেও দেয়া হচ্ছে সেবা।নাগরিক সেবার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধেও নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। জানা যায় মোঃ আরিফুল ইসলাম সরদার নেত্রকোনা পৌরসভার দায়িত্ব নেয়ার পর পৌরসভায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। পৌরসভার পাড়া-মহল্লার অলিগলির নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় এসব উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। মহল্লা ও বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি সচল। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পেশাদারত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। দিনের কাজ দিনেই শেষ করা হচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন শাখার সেবার মান বাড়াতে অফিস সময়ের পরও কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে পৌরসভার সামনে কথা হয় নাগড়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমানের সাথে তিনি বলেন, হঠাৎ জরুরী প্রয়োজনে আমার নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার পর আমাকে দ্রুত নাগরিক সনদ প্রদান করেছেন। পৌরসভার বর্তমান নাগরিক সেবা পেয়ে আমরা খুশি। নেত্রকোনা সদর উপজেলার ব্যবসায়ী পুতুল গাইন বলেন, বর্তমান পৌরসভার প্রশাসক পৌরসভায় যোগদানের পর থেকে সব ধরনের সেবার মান বেড়েছে। আগে যেখানে পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারে থাকতো এখন সব এলাকাতে বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরতে প্রায়ই গভীর রাত হয়ে যায়। এখন সড়ক বাতিতে নিরাপদে চলাচল করতে পারছি।
পৌরসভার মাছুয়া বাজারের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন রাত পোহানোর আগেই বাজারের সকল অলিগলি পরিস্কার করে রাখেন। যা আগে দেখা যেতনা। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে। তাছাড়া বাজারের সকল লাইটগুলো চালু করায় রাতে দোকান বন্ধ করে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারছি।পৌরসভার ঋষি পাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহবধু শিপ্রা পাল বলেন, কিছুদিন ধরে পৌরসভা থেকে নিয়মিত মশা নিধনে মশার ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। পানির লাইনে সমস্যাসহ যে কোন সমস্যা সমাধানে বর্তমান পৌর কতৃপক্ষ আগের চেয়ে তৎপর।
নেত্রকোনা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মাহমুদ বলেন, পৌর প্রশাসকের সঠিক নজরদারি ও কাজের স্বাধীনতা থাকায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাছন্দে ও জবাবদিহিতার সহিত কাজ করতে পারছে। যার ফলে একদিকে যেমন নাগরিক সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে পৌরসভার ভাবমুর্তি অক্ষুন্ন রাখতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রশাসক পৌরসভায় যোগ দেওয়ার পর দক্ষ অভিভাবকের নেতৃত্বে পৌরসভা পরিচালিত হচ্ছে। নাগরিকসেবার মান আরো বেশি বাড়াতে এবং পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে মনোবল বাড়াতে ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে দপ্তর প্রধানদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন পৌর প্রশাসক। যার ফলে কাজে গতি এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন খুঁটির লাইটগুলো অকেজো থাকায় রাতের বেলা পুরো পৌরসভা অন্ধকারে থাকতো। বর্তমান প্রশাসকের কঠোর নির্দেশনার ফলে পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের সবগুলো খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা হয়েছে।
এবিষয়ে কথা হয় পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম সরদারের সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দু:খ-কষ্ট লাঘবের। পৌরবাসী যেন সঠিক সময়ে সবধরনের নাগরিক সেবা পায় সেজন্য পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচেষ্ট রয়েছেন।