

মোঃ আলমগীর হোসাইন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃগাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম জুয়েল তালুকদার (৩৫)। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কছিমুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। স্থানীয় পারিজাত এলাকায় হোসেন আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন ব্যক্তি, আব্দুল হক নামের এক দিনমজুর। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৫ মে) বেলা ১২ টার দিকে কোনাবাড়ী পারিজাত আমতলা এলাকায় মোবাইল চুরির অভিযোগে জুয়েল ও আব্দুল হককে ধরে এনে ব্যাপক মারধর করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে জুয়েল ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আহত আব্দুল হককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এ ঘটনায় কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন: ১. মো. আবুল হোসেন (৩৩), পিতা: মৃত ওলিউল্লাহ, গ্রাম: হরিণাচালা, থানা: কোনাবাড়ী। ২. মো. রফিকুল ইসলাম রনি (৪২), পিতা: মৃত আব্দুল হাইদার, মাতা: রহিমা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম রতনপুর, থানা ফুলছুড়ি, জেলা গাইবান্ধা; বর্তমানে বাসিন্দা হরিণাচালা। ৩. আব্দুল মান্নান (৪৯), পিতা: নুর মোহাম্মদ, গ্রাম: হরিণাচালা। ৪. মো. মহিন (১৯), পিতা: আব্দুল মান্নান, গ্রাম: হরিণাচালা। ৫. মোছা. ছালমা (৩৭), পিতা: আব্দুর রহমান, মাতা: মোছা. আজিদা রহমান, স্থায়ী ঠিকানা: মনিপুর, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ; বর্তমানে ভাড়াটিয়া, পারিজাত আমতলা, রফিকের বাড়ি।
কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মোবাইল চুরির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড, এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনার পর চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।