কৃষ্ণ হাজংয়ের চিকিৎসায় মানবতার হাত বাড়ালেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
তোবারক হোসেন খোকন,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের যুবক কৃষ্ণ হাজং। গাড়ো পাহাড়ের আদিবাসী গ্রামের এক হাজং পরিবারে তার জন্ম। পরিবারের প্রত্যাশা ছিলো, বড় হয়ে কৃষ্ণ সংসারের হাল ধরবে। পরিবারের সবাইকে সহায়তা করবে। কিন্তু সেই আশা আর পুরণ হলোনা তার। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কৃষ্ণ হাজং। ছেলের চিকিৎসার হাল ধরতে ধরতে ক্লান্ত হয়ে পরেছে তার পরিবার।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানিয়েছেন তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তার বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন। বেঁচে থাকার যুদ্ধে কৃষ্ণ হাজং বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎস নেয়া শেষে ঢাকায় চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন। দীর্ঘমেয়াদী এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে তিার পরিবার এখন প্রায় নিঃস্ব।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কৃষ্ণ হাজং এবার অর্থ সংকটে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ার মনস্থির করেছেন। ভেবেছেন এবার মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করে নিবেন তিনি। অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পেরে সম্প্রতি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। তার পরিবারে তার স্ত্রী ও এক কন্যা এবং মা-বাবা আছেন। নিজে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় কোন কাজ করতে পারছেন না। ফলে পরিবাররের সদস্যদের থাকতে হয় প্রায়ই অনাহারে।
অসহায় কৃষ্ণ হাজংয়ের এই দুরবস্থার কথা জানতে পেরে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার পাশে অবতার হয়ে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার নিজ উদ্যোগে অসহায় কৃষ্ণ হাজংয়ের চিকিৎসা শুরু করেন নতুন করে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহের চিকিৎসা শেষে, সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার ব্যবস্থা করেন তিনি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই কৃষ্ণ হাজংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের দল বিএনপি সর্বদাই আর্তমানবতার সেবায় দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আসুন আমরা কৃষ্ণ হাজংয়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেনো সুস্থ হয়ে তার পরিবারের হাল ধরতে পারেন।
উল্লেখ্য : ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ইতোমধ্যে দুর্গাপুর-কলমাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন অসহায় মানুষের জন্য বিনামুল্যে চক্ষু ক্যাম্প, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা ক্যাম্প, ক্যান্সার ও লিভার থিরোসিসে আক্রান্ত্র রোগীদের নিজ উদ্দ্যেগে ঢাকা ও ময়মনসিংহে চিকিৎসা করানো, পাহাড়ী অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রায় ৪শত জনের চোখে ছানি অপারেশান, বিনামুল্যে আইনী সহায়তা দান, নামমাত্র ইজারা দিয়ে পশুর হাটে ক্রয়-বিক্রয়, সকল নদীর ঘাটে খেয়া পারাপার ফ্রি করণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া সহ মানববতার সেবায় নতুন সমাজ বিনির্মানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে, দুই উপজেলায় তারুন্যের আইডল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।