মোশাররফ চাইলে যে কোনো মুহূর্তে আ.লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী পরিবর্তন
চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চাইলেই যে কোন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলটির প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।
সর্বশেষ গত ৮ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের তিনটি পদে পরিবর্তন আসে। এই তিনটি পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পান বিদ্রোহী তিন প্রার্থী। ৭ ও ৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জোহরা বেগমকে বাদ দিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জেসীকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। ১৪, ১৫ ও ২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শিউলী দে’কে বাদদিয়ে আনজুমান আরা দলীয় প্রার্থী করা হয়। ২৮, ২৯ ও ৩৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জিন্নাত আরা বেগমকে বাদ দিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ফেরদৌসী আকবরকে দেয়া হয় আওয়ামী লীগের সমর্থন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ইচ্ছায় এসব পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। মঙ্গলবার একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মোশাররফ ভাই তিনটি পরিবর্তন করে আমাদের চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এবং এটা দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হয়েছে।’
আর কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে যা করার মোশাররফ ভাই করবেন। কেন্দ্রের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এটা আমি স্পষ্টভাবে বলছি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, মনোনয়ন দেয়ার পর কোন কিছু সমন্বয় করতে হলে মোশাররফ ভাই করবেন। তিনি তিনটি পরিবর্তন এনে আমাদেরকে জানিয়েছেন। আর পরিবর্তন হবে কি হবে না সব মোশাররফ ভাই দেখবেন।’
এদিকে বহিস্কারের হুমকির পরও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে থেকে গেছেন। ফলে নগরীর সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশেই এবার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্ত বিরোধিতার মুখে পড়তে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
গত রোববার চট্টগ্রামে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশাবাদ প্রকাশ করেন, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিদ্রোহী নিয়ে তৈরি সমস্যা সমাধান হবে। সেদিন তিনি বলেন, ঢাকাতেও প্রচুর প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত যতটা প্রথমে ছিল অত বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। ১৭২ জনের মধ্যে কমতে কমতে মাত্র ১৫ জন বিদ্রোহী ছিল যারা জয়লাভ করেছে। এখানে আমি উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না।