

মোঃ সামিরুজ্জামান, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী কবির হোসেনের (৩৫) মৃত্যুর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এর রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা কবিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
নিহত কবির হোসেন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রতন ডুবাই বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে এবং চার সন্তানের জনক ছিলেন। গত ২৯ জুলাই তিনি নিখোঁজ হন এবং এর চার দিন পর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া যাওয়ায় এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কবিরকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী সুমা বেগম বলেন, “আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
এই ঘটনায় ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর বাংলাবাজার এলাকায় স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। তারা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাব্বত খান জানিয়েছেন, “লাশ উদ্ধারের পর একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
তবে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তদন্তে ধীরগতি এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে নিহতের পরিবার। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।