

ইবি প্রতিনিধি: গ্রীষ্মকালীন এবং পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলেছে গত ১৫ জুন। বিগত কয়েক মাসের ভর্তুকির টাকা না পাওয়ায় বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং।
জানা যায়, গত ৬ মাস ধরে ভর্তুকি না পাওয়ায় ডাইনিং বন্ধ রেখেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডাইনিং ম্যানেজার। তাই ছুটির সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেলেও বন্ধ রয়েছে জিয়া হলে ডাইনিং।
এদিকে হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খন্দকার আবু সায়েম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের ডাইনিং ঈদের ছুটির পর এখনো চালু না হওয়ায় আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে, ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে, কিন্তু ডাইনিং বন্ধ থাকায় হলের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না। রুটিন মাফিক শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের খাবার সমস্যা সমাধানে হল প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে মনে করছি।
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী সাদমান সাদিব শিশির বলেন, “দীর্ঘ দিন হল খোলার পরেও আমাদের হল ডাইনিং এখনো চালু হয়নি। এটা আমাদের জন্য ভোগান্তির বিষয়। ডাইনিং চালু না হওয়ার আমাদের অন্য হল ও হোটেলের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। এটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। হল প্রশাসন যেন অতি তাড়াতাড়ি ডাইনিং চালু করার ব্যবস্থা করে।
ডাইনিং বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে হলের ডাইনিং ম্যানেজার বলেন, “বিগত ছয় মাস ধরে আমাকে খাবারের ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। সে হিসেবে আমি দুই লক্ষ টাকা পাব হল প্রশাসনের কাছে। এই বিষয়ে হল প্রশাসনকে বলা হলেও পাওয়া যায় নি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে আমার কাছে কোন টাকা নেই। হল প্রশাসন টাকা না দিলে আমি ডাইনিং চালু করতে পারবো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন বলেন, ভিসি স্যার দায়িত্বে আসার পর থেকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আমরা যেভাবেই হোক (হলের) আর্থিক বিষয়গুলো যেকোনো ফান্ড থেকে দিব। তবে পরে তা হয়ে ওঠেনি।
হলের বর্তমান হল প্রোভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, আমি সবেমাত্র হল প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এখন প্রভোস্ট একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ বিষয় নিয়ে আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছি। আর ডাইনিং ম্যানেজারকেও বলেছে যে তাদের কাছে যা টাকা আছে তাই নিয়ে ডাইনিং চালু করতে।