ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায়, আরো ২৪ জন ফিরে পেলেন চোখের আলো
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: ‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়, জটিন ও কঠিন রোগে আক্রান্ত যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, এমন অসহায় মানুষদের চিকিৎসা করানোর মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এরই প্রেক্ষিতে দুর্গাপুর উপজেলার আরো ২৪ জনের চোখ অপারেশন করানোর ব্যাবস্থা করলেন তিনি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পঞ্চম ধাপে ওই রোগীদের চিকিৎসা শেষে দুর্গাপুর নিয়ে এসে এমনটাই জানিয়েছেন, বিরিশিরি ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের ড. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে, অপারেশনের মাধ্যমে চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলা থেকে ৪র্থ ধাপ সহ প্রায় ২শত জনের চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। শুধু অপারেশন নয়, রোগীদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, ঔষধসহ সব খরচও বহন করছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ কাজে স্থানীয় বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবীরা বাসযোগে ময়মনসিংহে কে জামান হাসপাতালে পৌঁছে দেন এবং চিকিৎসা শেষে রোগীদের বাড়ি পৌঁছে দেন।
স্থানীয়রা বলেন, এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে একটি ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন সাধারণ রোগীর ছানি অপারেশনের জন্য তালিকা প্রস্তত করা হয়। ওই তালিকা ধরেই আজ ৫ম ধাপের যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নারী-পুরুষ কে পাঠানো হয়েছে ময়মনসিংহে।
চোখ অপারেশন করে আসা এক কৃষক বলেন, চোখ না দেখতে পাইলে কি যে কস্ট, একমাত্র যার চোখে আলো নাই, সেই জানে। আমার দুটি চোখই ছানি পড়ে নস্ট হওয়ার পথে ছিলো। ব্যারিস্টার সাহেব চক্ষু ক্যাম্প করার পর, অপারেশনের তালিকায় আমার নাম লিখাইছি। পরে আইজ ডাক্তাররা এক চোখ অপারেশন করে দিছে। মরার আগের দিন পর্যন্ত কায়সার সাহেবের দোয়া করমু আমরা।
এ নিয়ে পৌর বিএনপি‘র সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদ বলেন, সমাজে মানবসেবার উপরে আর কোন কিছুই হতে পারে না। দুর্গাপুর-কলমাকান্দার মানবিক নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, দীর্ঘদিন ধরে নিজ অর্থায়নে এসকল মানবিক কাজ গুলো করে যাচ্ছেন। একজন যোগ্য নেতার পক্ষেই এসকল কাজ করা সম্ভব। তিনি নেতৃত্বে আসুক এমনটাই চাচ্ছেন এলাকাবাসী। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রোগীদেরও চোখের অপারেশন সম্পন্ন করা হবে। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫শত মানুষ চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন।