বিলবোর্ড লাগানো নিয়ে হত্যা মামলায়, গ্রেফতার ১
তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃনেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বিলবোর্ড (ফেস্টুন) লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র নেতার বাড়িতে হামলা করে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় শফিকুল ইসলাম শফিক (৪০) নামে এক করাতকল শ্রমিক নিহত ও কমপক্ষে ছয়জন আহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে বেআইনী ভাবে বাড়িতে প্রবেশ, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন এবং হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (২৪ মে) দুপুর ২টার দিক মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়।
এ মামলায় দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার (৫০) কে প্রধান আসামি করে আরো ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় (শুক্রবার ২৩ মে) রাতে একজন আসামি তাজুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. হামিদুর রহমান রাশেদ আগামী ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্গাপুর ও উপজেলার আশপাশের এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড টানানোর জন্য এলাকায় বেশকিছু বিলবোর্ড প্রেরণ করেন। গত বৃহঃস্পতিবার দুপুরে ওই বিলবোর্ড গুলো দুর্গাপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লাগাতে গেলে জামাল উদ্দিন মাস্টার বাঁধা দেন এবং হামিদুর রহমান রাশেদের লোকজনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বিলবোর্ড রেখে দেন।
পরবর্তিতে ওই দিন রাত ৮টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত ৮০-৯০ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল ও পিকআপ যোগে দেশীয়অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামিদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই হামলায় হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন এবং আরো ৬ থেকে ৭ জন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত তাজুল ইসলাম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।