নেত্রকোনায় কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা : বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি আর অনেক বহু আন্দোলনের পটভূমির সঙ্গে কৃষ্ণচূড়া গাছের সম্পর্ক খুব নিবিড়। কবি সাহিত্যিকদের ছড়া-কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এসেছে এই ফুলের সৌন্দর্য্যের বর্ণনা। বৈশাখের শেষ প্রান্তে আকাশে প্রচণ্ড তাপদাহের মাঝে প্রকৃতি যেন নিজেও তার প্রাণ ফিরে পায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে। গ্রীষ্মের এই নিস্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরছে আপন মহিমায়। গ্রাম বাংলার অপরূপ প্রতিচ্ছবিকে আরও নতুন করে রূপে সাজিয়ে দিচ্ছে এই ফুল।
নেত্রকোনা শহরের কালেক্টর মাঠ, মোক্তারপাড়া মাঠ,ও পুরাতন জেলা কারাগারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গাছ আপন মনে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে গাছে গাছে এমন টাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি,যে কারো চোখে এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা। নেত্রকোনায় সারা দেশের মতোই কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় অবসন্ন পথিকের মনে। তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথচারীরা পুলকিত নয়নে, অবাক বিষ্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য্য।এছাড়াও শহরের ছোট বড় বিভিন্ন পয়েন্টে কৃষ্ণচূড়া গাছের নান্দনিকতা উপভোগ করছে সবাই। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে ফুল ফুটে কৃষ্ণচূড়া মুগ্ধতা ছড়িয়ে পথচারীদের থমকে তাকাতে বাধ্য করছে। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় সাধারণত ১২ থেকে ১৫ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এটির ব্যাপ্তি বেশ প্রশ্বস্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। চিরসবুজ বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত।কবিগুরু রবি ঠাকুরের ভাষায় ‘গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি’ আজ টিকে আছে নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে। তবে ক্রমে ক্রমে বাড়ছে কৃষ্ণচূড়া গাছের কদর। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শোভাবর্ধনে কৃষ্ণচূড়া গাছ অতুলনীয়। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষগুলো নেত্রকোনার গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব বহন করে আসছে।তাই প্রতিদিনই কৃষ্ণচুড়া গাছের কাছে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ।তাই এমন সৌন্দর্য দেখতে কেউ ভুল করেন না কেউ বলে জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।