দুর্গাপুরে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, বাজারে ক্রেতা কম
তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ বেলায় পশুর বাজারে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ক্রেতা সমাগম হলেও বিক্রি কম। তাদের আশা শেষের দিকে বিক্রি বাড়বে। গতকাল পর্যন্ত হাটে ছোট ও মাঝারি গরু এবং ছাগলের বিক্রি ছিল বেশি। শুক্রবার (০৬ জুন) বিকেল পর্যন্ত পৌরশহরের এমকেসিএম স্কুল মাঠ ও শিবগঞ্জ পশুর হাটসহ কয়েকটি হাটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
হাট সংশ্লিস্টরা বলছেন, পৌরশহরের বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে এবার কালিকাপুর, বারোমারি, দাহাপাড়া, মেনিক, কাকড়াকান্দা, নয়াপাড়া, কুমুদগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গরু এসেছে। এমকেসিএম মাঠে কর্মরত একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, আজ দুপুর পর্যন্ত প্রায় দুইশত‘র মতো গরু হাটে প্রবেশ করেছে। কিন্তু আমদানি বাড়লেও ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন বিক্রেতাগণ।
কয়েকজন খামারিরা বলছেন, খরচ এত বেড়েছে যে, গরুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এবার হাটে গরু সরবরাহ মোটামুটি স্বাভাবিক হলেও দাম অনেকটাই ‘চড়া’ ছিলো। কিন্ত শেষ সময়ে এসে বেশির ভাগ ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। ছোট আকারের গরুর দাম শুরু হচ্ছে ৭০-৮৯০ হাজার টাকা থেকে। মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে এবং বড় গরু গুলো ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।
এমকেসিএম মাঠে রহিম উদ্দিন হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি দুইটা গরু দাম করেছেন। একটা ১ লাখ ২০, আরেকটা ১ লাখ ৫০ হাজার দাম চেয়েছে। গত বার এই সাইজের গরু ১ লাখ টাকার মধ্যে কিনেছি।
এছাড়া হাট থেকে গরু গুলো বাড়ি নেওয়ার খরচও এখন বেড়েছে।
দাহাপাড়া এলাকার এক বিক্রেতা বলছেন, এবার কোরবানির হাটে ক্রেতাদের মধ্যে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমি এবার ৩টা গুরু লালন পালন করেছি। দুইটি বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজেরটা ক্রেতারা দেখে চলে যাচ্ছেন। কি যে হয় জানিনা।
হাট ইজারাদারগণ জানান, উপজেলার প্রায় পশুর ভাগ গুলোতে মেডিক্যাল টিম, ভেটেরিনারি সেবা, মাইকিং, মল-মূত্র নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। গতকালের দুইদিনের বৃষ্টির কারণে হাটের অনেক স্থানে কাঁদা জমেছিলো। আজ সকাল থেকে রোদ থাকায়, হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি থাকলেও বিক্রি করতে পারছেনা অনেক বিক্রেতারা। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় নজদারী করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের এই নজরদারীর প্রতি আমরা খুশি।