সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচর সরকারি লক-ডাউন আইন অমান্য
জামসেদ আলম(সন্দ্বীপ প্রতিনিধি): দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বিস্তার রোধে প্রয়োজন ছাড়া সরকারের সব ধরনের মানুষ চলাচল সীমিত করা হয়েছে।অথচ সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের বিভিন্ন স্থানের বাজার গুলোতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রয়োজন অপ্রয়োজনে দেদারসে মানুষ চলাচল করে যাচ্ছে।মানছে না সরকারি কোন বিধি নিষেধ।কোন কোন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর আবার কোলাহল বাড়তে থাকে।এতে করোনা ভাইরাস বিস্তারে ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।বিচক্ষণ কিছু মানুষ চাছেন প্রশাসন যেন, বাজার ঘাটে সব সময় অহেতুক মানুষ চলাফেরা করতে বিধি নিষেধ আরো জোর করেন।এতে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধ এবং তাদের ঝুঁকি কমবে বলে আশা করেন।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রকোপ ও বিস্তার রোধে সরকার প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নানান ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।যে কারনে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সোনাবাহিনী নেমেছে মাঠে ।এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন,গ্রাম পুলিশ সদস্যরাও রাস্তা ঘাট বাজার পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন স্থানে চলাফেরা সীমিত করতে টহল দিচ্ছেন।উড়িরচররের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গিয়েছে যে,লকডাউন চলা অবস্থাও সামাজিক দূরত্ব না মেনে সামাজিক বিবাহের অনুষ্ঠান,চায়ের দোকান আড্ডা, নোয়াখালীর চারের ঘাট,বড়িইতুলাঘাট,গুচ্ছুগ্রাম ঘাট,দক্ষিণের রাস্তার মাথার ঘাট,দিয়ে প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণ মানুষ অবাধভাবে নৌকায় যাতায়াত করে যাচ্ছে।যেখানে নূন্যাতম একমিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকারি আইন মেনে চলার কথা অথচ অনেকে কোন কাজ কর্ম ছাড়া রাস্তা বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।এসম্পর্কে উড়িরচর ছাত্র সমাজের উদীয়মান মোঃ হেলাল বলেনঃ-মারাত্মাক ব্যাধি করোনা প্রতিরোধ করতে হলো এখনি চরের চারপাশের যাত্রী চলাচল বোড গুলো বন্ধ করতে হবে।তাহলে আমরা রক্ষা পেতে পারি।কলনী বাজার, সমিতির হাট, জনতাবাজার, খায়ের মাকের্ট ও কামাল মাকের্ট সহ বেশিভাগ মাকের্ট ঘুরে সরজমিনে দেখা যায় সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের এমন চিত্র।সাধারণ মানুষ বলছে তারা প্রয়োজনে বাজারে তারা কেনা কাটা করতে এসেছেন তবে অনেকে অপ্রয়োজনেও এসেছেন।এতে সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা তো মানছেও না বরং করোনা ভাইরাস বিস্তার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উড়িরচর স্থানীয় পুলিশ পাড়ীর অফিসার ইনচার্জ আতিক বলেনঃ-করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাজার গুলোতে মানুষে অহেতুক চলাফেরা নিয়ন্ত্রনে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।আমরা আজ আরো কঠোর অবস্থানে গিয়ে প্রতিটি বাজারে ও ঘাটে সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য করবো আইন অমান্য করলে প্রয়োজনে লাটি চার্জ করবো।সন্ধ্যা ৬টার পর প্রতিটি মুদিমালের দোকানেও বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করছি।প্রত্যাশা করছি মানুষকে লকডাউন করতে সক্ষম হবো।