তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা প্রতিনিধি :কন্যা দায়গ্রস্থ্য পিতাকে সাহায্য, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, জটিল ও কঠিন রুগীদের চিকিৎসা প্রয়োজনে অপারেশন, চোখে ছানি অপারেশন, মসজিদ মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান, বাজার ও ফেরিঘাট উন্মুক্ত করে দেয়া সহ এলাকায় এমন জনকল্যানমুলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যে কারনে নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব। তার পৈতৃক নিবাস কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চত্রংপুর গ্রামে। প্রয়াত আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল মনসুর (সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান) এর সন্তান।

সম্প্রতি সরকার অনুমোদিত খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে তার প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে নির্ধারিত মূল্যে চাল ও ডাল সরবরাহ করায় স্থানীয়দের কাছে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বাজারে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ‘‘এই সামগ্রী পেতে অন্যখানে হচ্ছে নানা অনিয়ম, কিন্ত কায়সার কামাল সাহেবের নির্দেশে এখানে সঠিক দামে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই খুশি।

খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ক্যাম্প আয়োজন, রাবারড্যাম প্রকল্পের পানি কৃষকদের মাঝে বিনা খরচে সরবরাহ, কৃষিবান্ধব নানা প্রকল্প হাতে নেয়ার উদ্দ্যেগ, স্থানীয় পর্যায়ে বেকারত্ব দুরী করনের জন্য সরকারিভাবে প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা, তাকে এলাকাবাসীর কাছে ভরসার প্রতীক করে তুলেছে।কলমাকান্দা বাজার ইজারাদারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘এই ধরনের উদ্যোগ শুধু প্রশংসনীয় নয়, বরং অনুসরণযোগ্য। একজন জাতীয় নেতা স্থানীয়ভাবে এসকল কাজে সক্রিয় থাকা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উৎস।’’ দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই এলাকায় যে ধরনের কাজ শুরু করেছেন তিনি, তা মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।

দুর্গাপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জনগণের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো মানুষ আজ বড়ই বিরল। কায়সার ভাই বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন জনবান্ধব নেতা কাকে বলে। তিনিই যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান, তাহা প্রমান করে দিলেন। মহান আল্লাহ্ তার মঙ্গল করুন।