

আশিকুর রহমান (নরসিংদী) : নরসিংদীর পলাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার জেরে বাবার সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা। সোমবার (১১ মার্চ) রাত আটটার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আলম মিস্ত্রির ছেলে সুমন মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারেক, আইয়ুব ও মোমেন নামের তিনজন। তখন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সেখানে এসে যাত্রী নামায়। ওই তিনজন রিকশাচালকের কাছে ডাঙ্গা বাজারে যাবেন কি না জানতে চান। অটোরিকশা চালক যেতে রাজি হননি। এমন সময় নিহত সুমনের চাচা মুকুল মিয়া ওই রকশাচালককে অসুস্থ মহিলাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাতে রিকশাচালক রাজি হয়ে যায়। এতে তিন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রিকশাচালক ও মুকুল মিয়ার সাথে তর্কে জড়ান। ওই ঘটনার সূত্র ধরে রাত ৮টার দিকে ওই তিন যুবক ও তাদের সহযোগী মিলে মুকুল মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে মুকুল মিয়াকে খুঁজতে থাকেন। তাদের হৈচৈ-চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সুমন মিয়া ও তার বাবা আলম মিয়া। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমন ও আলম মিয়াকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা আলম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শওকত হাসান বলেন, সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় ও আলম মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।