বগুড়ায় ড. পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়িতে গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার চেষ্টা, অল্পের জন্য রক্ষা
এস.এম.জয়, বগুড়া প্রতিনিধি:বগুড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ফ্রান্স প্রবাসী ইউটিউবার ড. পিনাকী ভট্টাচার্যের পারিবারিক বাড়িতে গভীর রাতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার মতো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন তাঁর বাড়িতে এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। সৌভাগ্যক্রমে, সময়মতো আগুন নিভিয়ে ফেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
স্থানীয় সূত্র ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, গভীর রাতে দুইজন মুখোশধারী ব্যক্তি ড. পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির প্রধান দরজায় আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়দের তৎপরতা এবং সৌভাগ্যের জোরেই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
পিনাকী ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পরপরই ড. পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন:
> “আমার বগুড়ার বাসার সামনের দরজায় রাত দুইটায় দুইজন মুখোশধারী আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। বলুন তো, বগুড়ার শহরে আমার বাসায় আগুন লাগানোর দুঃসাহস কার হতে পারে? আওয়ামী লীগও এমন দুঃসাহস করেনি। আমার বাসায় বৃদ্ধা মা থাকেন, সেই বোধটুকুও এদের নেই।এরা রাজনীতি করতে এসেছে। আমি বগুড়াবাসীর কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাইছি এবং এই দুর্বৃত্তদের বগুড়ার মাটি থেকে উৎখাতের আহ্বান জানাচ্ছি। দুর্বৃত্তরা ধরা পড়বেই। কেউ আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না। আমার কণ্ঠস্বর থামবে না — ইনকিলাব জিন্দাবাদ।”
>পুলিশি তৎপরতা ও তদন্ত
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম জানান, “কারা বা কী উদ্দেশ্যে এই হামলার চেষ্টা চালিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা “Channel 21” -কে নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
এ- ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বগুড়াবাসী এই ঘটনার দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

