বারংবার বন্যায় চলনবিলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ,বিপদ সীমার ১০৬ সেঃমিটারের উপরে পানি প্রভায়ীত।
কাওছার আহ্ম্মেদ ডাহিয়া,(সিংড়া)প্রতিনিধি: বার-বার বন্যায় চলনবিল বাসির জীবনে নেমেএসেছে চরম দূর্ভোগ,অধিকাংশ সড়ক পথ পানিতে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ হয়ে পরেছে প্রায় বিচ্ছিন্ন। নাটোরের সিংড়ার চলনবিল অঞ্চলে ২য় দফার বন্যায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।অত্যাধিক ভারী বর্ষনে উজান থেকে পানি নেমে আসায় এবং মোহানন্দা নদী বেয়ে ফারাক্কা হয়ে ভারতের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়ে। বর্তমানে চলনবিলের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি বিপদ সীমার ১০৬ সেঃমিটারের উপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে। যে বৃদ্ধির মাত্রা পানি বৃদ্ধির অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ঐতিহাসিক রেকর্ড করেছে। গত দুই মাসের ভয়াবহ বন্যার যে ক্ষতি হয়েছে সেই লোকসান কাটিয়ে না উঠতেই ফের বন্যায় চলনবিলের হাজার হাজার পরিবার পরেছে চরম দুর্ভোগে।বাচাঁর কোনো কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেনা কিছুতেই।পানিতে ডুবে যেয়ে নষ্ট হয়েছে এঅঞ্চলের প্রায়১৬০০/১৭০০ হেক্টর জমির নতুন করে রোপনকরা রোপা ধান ও অন্যান্ন ফসল।ভাসিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার পুকুরের চাষকরা মাছ।
বন্যার পানিতে বাড়ি-ঘর,পথ ঘাট স্কুল কলেজ সব কিছুই ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পানি বন্দী হাজার হাজার পরিবার। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে দূর্ভোগ আর ভোগান্তি আরও বেশি। উপার্যনের সকল পথ হয়েগেছে একেবারে বন্দ। পানিতে বসত করার একমাত্র ঘরটি ডুবে যাওয়ায় খুলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করতে হচ্ছে হাজার হাজার বানভাসি পরিবারকে। খাদ্যোভাব ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে নানা অসুস্থতায় ভুকছেন শিশু ও বৃদ্ধসহ নানাবয়সের মানুষ।আবার অসুস্থ্যদের অসুস্থতায় মিলছেনা সু চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই সিংড়ার পৌর এলাকার স্কুল,কলেজ মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের কাছে অতীতের মতোই প্রয়োজনীয় খাদ্য, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সহ সকল প্রকার সাহায্য সহায়তার আশাবাদী চলনবিলের হাজার হাজার বানভাসি অসহায় মানুষের।