ধর্ষণ মামলায় জেলে থেকেই নির্বাচনে আ.লীগ নেতা
জেলহাজতে প্রার্থী। কিন্তু তিনি লড়ছেন নির্বাচনে। তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে চলছে সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণা। হচ্ছে মাইকিং। লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলি হচ্ছে লিফলেট। ঘটনা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার। তবে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় আসামি হয়ে তিনি এখনও জেলে।
এই প্রার্থীর নাম হাসান মৃধা। তিনি রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) পদপ্রার্থী। প্রতীক পেয়েছেন ‘তালা’। জেলে থেকেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন। এ কারণেই আলোচনায় এসেছেন তিনি।
জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর হাসানের নিজ গ্রাম ছোটবাইশদিয়ায় এক গৃহবধূকে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাঙ্গাবালী থানায় নির্যাতনের শিকার গৃহধূর মা বাদী হয়ে হাসানকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছে।
হাসানকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা এবং আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা যায়, তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে আত্মীয়-স্বজনরা চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। হাসানের নির্বাচনী পোস্টারের বিশেষণে লেখা তিনি সৎ, নির্ভীক, নিষ্ঠাবান, সমাজসেবক, গরীব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের বন্ধু। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা।
জানা গেছে, ছোটবাইশদিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাদের মধ্যে দুই প্রার্থী বলেন, জনপ্রতিনিধিকে সৎ, নিষ্ঠাবান এবং চরিত্রবান হওয়া উচিত। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগেই যদি কারও নামে ধর্ষণের অভিযোগ কিংবা মামলা হয়ে জেলে থাকে তার কাছে তো সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সোহাগ হাওলাদার বলেন, হাসান মৃধার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে আইনি কোনো বাধা নিষেধ নেই। মামলা যে কোনো ব্যক্তির নামেই হতে পারে। সে দায়ী কিনা বুঝা যাবে রায়ের পর।