

মো: শাকিল শেখ সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিফাত, রিসান ও মৃদুলের বিরুদ্ধে বাসা-বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বুধবার (৬আগস্ট) আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে এমনটি জানান ফ্রেন্ডস স্যাটেলাইট এন্ড ইন্টারনেট সার্ভিস এর স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম।
এরআগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার বেরণ ও চিত্রশাইল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিফাত ও রিসান আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আহসানুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে এবং অন্যজন হলো একই এলাকার বাচ্চু সরদারের ছেলে মৃদুল।
ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে বৈধ কাগজপত্র আছে। দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছি। রিফাত, রিসান ও মৃদুল তারা আমার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় আমার ব্যবসা দখল নিতে মঙ্গলবার রাতে তাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং বাহিনীরা মুখে কালো মুখোশ পড়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন স্থানের সংযোগকৃত ইন্টারনেটের তাড় কেটে ফেলে এবং তাড় সহ অনু খুলে নিয়ে যায়। এসময় ব্যারিস্টার ভিলা সহ বিভিন্ন বাসা বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জু নামের এক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা বলেন, রাতে আমি দোকানে বসে মোবাইলে ফেসবুক দেখছিলাম এমন সময়ে দুই গ্রুপ পোলাপান মুখে মুখোশ পড়ে এলাকায় ঢুকে আমার দোকানের পাশের একটি অফিসের গেট কোপায় ও আশপাশের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করতে থাকে। এসময় কয়েকজন পোলাপান দৌড়ে এসে আমার ফোনটি কেড়ে নেয়। বর্তমানে আমরা আতংকে আছি।
এক মহিলা চায়ের দোকানী বলেন, আমি দোকানদারী করছিলাম এমন সময়ে কিছু পোলাপান হাতে রড, দাও ও লাঠি নিয়ে এলাকায় ঢুকে ভাংচুর চালায়, এমন দৃশ্য দেখা মাত্রই আমি ভয়ে দোকান বন্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে সঁটকে পড়ি।
এক বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, ২০-৩০ জন মুখোশধারী আমাদের এলাকায় ঢুকে। আমরা তাদেরকে দেখা মাত্রই বাড়ির ভিতর থেকে গেট লাগিয়ে দেই। এসময় তারা আমাদের কোন ক্ষতি করবে না বলে এমন শর্ত দিয়ে গেট খুলে দিতে বলে। আমরা ভয়ে গেট খুলে দেই। তারা ভিতরে ঢুকে প্রথমে সিসি ক্যামেরাগুলো ভাংচুর করে এবং ইন্টারনেট এর তাড় কেটে ফেলে। যাওয়ার সময়ে অনু খুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা আতংকে আছি।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউলকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি মামলা হওয়ার কথা, সম্ভবত হবে। আপনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, কি ঘটনা ঘটেছিলো সে বিষয়ে জানতে ফোন দিয়েছি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি বক্তব্য দিতে পারি বলেন, সামনাসামনি আসেন কথা বলি এই বলে ফোনটি কেটে দেন তিনি।