অনলাইন থাই গেমে আসক্তি বাড়ছে উঠতি বয়সের তরুনরা সৈয়দপুরে
মোঃ মাইনুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলা সৈয়দপুরে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা ,এক সময়ে তরুণরা অবসর কাটাতো বই পড়ে, মাঠে খেলে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার এই সময়ে এর জায়গা দখল করে নিয়েছে ফ্রি ফায়ার, প্লেয়ার আননোউনস ব্যাটল গ্রাউন্ডসহ (পাবজি) বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও গেম। এসব গেমের প্রতি আসক্ত তরুণদের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলাসহ শহরে পাবতীপুর রোডে ও এয়ারপোর্ট রোডে দামী মটর সাইকেল নিয়ে ব্যাপক সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিদিন মহড়া দিয়ে চলেছেন, গ্রামগুলোতেও অনলাইন গেমাসক্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠায় রয়েছে অভিভাবকরা। মাদকাসক্তির মতো অনলাইন থাই গেমে আসক্ত তরুণদের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘরে-বাইরে, মাঠের কোনে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কাজ ফাঁকি দিয়ে অনলাইন গেমে মত্ত উঠতি বয়সের তরুণেরা। হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের স্ক্রীণে দৃষ্টি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেলে যাচ্ছে অনলাইন থাই গেম। একটি স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ আর ডাটা প্যাক হলেই খেলা যায় এই গেম। গেমাসক্ত তরুণরা প্রয়োজনীয় ডাটা প্যাক কিনতে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। একজন অভিভাবক জানান, ছেলেরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাত জেগে গেম খেলে সকাল ১১টায় ঘুম থেকে উঠে। অন্য কোনো কাজে মন নেই, মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে আর পারছি না। সৈয়দপুর উপজেলা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, ক্রমাগত থাই সহ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তির কারণে অন্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনের আলোতে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও এটি মনের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে বিচ্ছিন্ন ভাব তৈরি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ আসক্তিকে মনঃস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তিনি আরো বলেন, দেশ গঠনের হাতিয়ার তরুণ সমাজ গেমে আসক্ত হয়ে বাস্তব জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে কাল্পনিক স্কোর বাড়াতে মগ্ন থাকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ বলেন, অনলাইন গেমে আসক্ত এসব তরুণদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারিবারিক অনুশাসন ও কাউন্সিলিংয়ের বিকল্প নেই।