শুভ জন্মদিন নাজিম উদ্দিন এ্যানেল
গুণি মানুষ নাজিম উদ্দিন এ্যানেল’র জন্মদিনে চন পত্রিকা “নিউজ চট্টগ্রাম২৪” www.chnnel21tvbd.com এর পক্ষ থেকে অকৃত্রিম শুভেচ্ছা
তারুণ্যের বাতিঘর খ্যাত নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল যেন ব্যক্তি নয় একটি প্রতিষ্ঠান! যার নাম জস খ্যাতি শুধু দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিও জয় করেছে! চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ নাজিম উদ্দিন চৌধিরী এ্যানেল যার মানবিক কর্মকান্ড তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শের বাতিঘর হয়ে আছে!
২০০০সাল পরবর্তী সময়ে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় চোখ রাখলেই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যালেনের লেখা চোখে পড়তো! কবিতা ৯৬ সালে কবিতার বই দিয়ে কালিও কলমের জগতে প্রবেশ করলেও আজ পর্যন্ত থেকে নেই তিনি!
আমরা অনেকেই মনে করি একজন লেখক,একজন সংগঠক মানে সুঠাম দেহের অধিকারী এমন কেউ একজন। নাহ সেটা ভুল। একজন মানুষ সত্যিকারের বড় হয় তার মেধা মননে। যার বড় দৃষ্টান্ত আজকের নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল।
এ্যানেল একজন লেখক, একজন সংগঠক এবং একজন মানবিক মানুষ! আজকের সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা নগন্য।
মানসিক শক্তিটাই হল আসল। তার শারীরিক শক্তি হচ্ছে গৌণ। একজন মানুষকে বিচার করলে অবশ্যই তার মানসিক শক্তি বা মন মানসিকতা দিয়ে বিচার করা জরুরী।
২৩ জানুয়ারি রাউজানের কদলপুল গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই লেখক। জানা যায় লেখকের শৈশবকাল অতিবাহিত হয়েছে সাতকানিয়া অালো বাতাসে
তাকে শুধু লেখক বললে ভুল হবে তিনি একাধারে লেখক সংগঠক সমাজসেবক তথা শিক্ষানূরাগী অনেক শিক্ষাও সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানের দাতাও উপদেষ্টা তিনি,
প্রতিদিন তার রেস্টুরেন্টে কত অনাহারী মানুষের মুখে হাসি ফুটে সে খবর অামরা অনেকেই জানি না! গবিবের বন্ধু হিসেবে তার খ্যাতি অনেক দীর্ঘ, বর্ষার জলাবদ্ধতায় কর্মহীন মানুষের মুখে কোমর পানি ডিঙিয়ে তিনি তার সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মীদের নিয়ে যে কোন দুর্যোগ ঝাপিয়ে পড়েন
ঢাকঢোল পিটিয়ে কখনো কোন কিছু করার আগ্রহ তার মাঝে ছিলো না। রাতের অন্ধকারে কাঁধে কম্বল নিয়ে মাইলের পর মাইল হেটে হেটে এই নগরে যিনি শীতার্তদের ভালোবাসা বিতরণ করেন তিনি নাজিম উদ্দিন এ্যানেল
তারুণ্যের বাতিঘর খাত নাজিম উদ্দিন এ্যানেল চট্টগ্রামের অসংখ্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। নানা ভাবে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক বছর ধরে।
তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বহুকাল ধরে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের সেবায়।বিশেষ করে সমাজের অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। সাংগঠনিকভাবে তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে ও সমানভাবে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পদক হিসেবে তাকে একজন সফল সংগঠক বলা যায়। তিনি সক্ষম হয়েছেন দেশের বাইরেও শাখা গঠন করতে। দেশজুড়ে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মানবিক কার্যক্রম চলমান অাছে কেবল তার নিজের অর্থায়নে। কত বড় মনের মানুষ হলে এতো বড় সংগঠন চালাতে পারে?
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জিড়িত। তিনি কমপক্ষে চট্টগ্রামের ১৫ থেকে ২০ টি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। এবং প্রতিটি সংগঠনের নানান প্রোগ্রামে তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।
অতি সম্প্রতি তিনি দুবাই সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। তার সাথে দেখা করতে গেলেই আপ্যায়নের কোন ত্রুটি রাখে না। দুবাই সফরে তাকে সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নানান সংগঠন সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করেন।
একজন পরিচিতজন, স্বজন, বন্ধু হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বেরও। পরিচিতজন বা স্বজন বলে নয়, তার সাথে যে কেউ সাক্ষাত করতে গেলে সহজে আপ্যায়িত না না হয়ে আসতে পারেনি।
রাজনীতি ও প্রচার বিমুখ এ মানুষটি সংগঠন প্রিয় সংস্কৃতি প্রিয়। তার বড় শখপৃথিবীকে জানা। প্রচুর ব্যস্ততার মাঝেও মানবিক কাজে তিনি সবার অাগে থাকেন।