৫ প্রার্থীর ছবিসহ কে হচ্ছেন লালমনিরহাটের পৌরপিতা? ভোটারদের ধারণা লাড়াই হবে ত্রিমুখী
আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট: এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। সবার দৃষ্টি এখন পৌর নির্বাচনের দিকে। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে পৌরবাসীর আগ্রহের শেষ নেই। চায়ের স্টল থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় একটি আলোচনা-বিচার বিশ্নেষণ-কে হচ্ছে লালমনিরহাট পৌরসভার পৌরপিতা। নির্বাচনী মাঠে কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ভোটারদের মন জয় করতে মাইকিং, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। চারদিকে বিরাজ করছে পোষ্টারের সাজ সাজ রব। লালমনিরহাট পৌরসভার ভোটাররা সৎ ও যোগ্য মেয়র প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, এমন প্রার্থী নিজের জন্য নয়, জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। পৌরসভার সব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন। তবে সাধারণ ভোটারদের ধারণা লাড়াই হবে ত্রিমুখী। পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে তাঁদের কাঙ্খিত মেয়র প্রার্থী সম্পর্কে তারা এসব কথা বলেন। জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট পৌরসভা। আসছে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ২০২১ইং লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিতব্য হতে যাচ্ছে। এবার পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭শত ৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৪ হাজার ৭শত ৯৮ জন ও মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ৯শত ৭১ জন। ভোট কেন্দ্রর সংখ্যা ১৮টি। এ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৪ জন দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আর অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছে। এসব প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি,এন,পি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন রানা (ধানেরশীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন (নারিকেল গাছ), জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রার্থী এস এম ওয়াহেদুল হাসান সেনা (নাঙ্গল) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (হাতপাখা)। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫জন ও পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৪৪জন প্রার্থী প্রতীক নিয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেডাচ্ছে। এরই মাঝে ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আমরা চাই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হোক, যাতে সবাই নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারেন।’ পৌর এলাকার আসিফুল ইসলাম নতুন ভোটার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জীবনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেব, এটা ভেবে খুব উৎফুল্ল লাগছে। তবে যে প্রার্থী সৎ, যোগ্য এবং যিনি পৌরবাসী তথা জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, নিজের জন্য নয়, এমন প্রার্থীকেই ভোট দেব।’ জেলা বিএনপির প্রবীণ এক নেতা বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত হবে। আমরা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিপুল সাড়া পেয়েছি। তবে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জেলা প্রশাসক আবু জাফর আহমেদ বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রার্থীর পক্ষেই বিন্দুমাত্র দুর্বলতা দেখানোর সুযোগ নেই প্রশাসনের। এ নির্বাচনে প্রশাসন কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।