স্থানীয় লোকজনের হেনস্থার শিকার রাবি শিক্ষক

Share the post
শাহরিন ইসলাম (রাবি): সরাসরি স্যারের হুবাহু সাক্ষাৎকার  তুলে ধরা হল : ঘটনাটি ঘটেছে প্রফেসর মাহবুবুর রহমানের সাথে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও  সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক হিসাবে  কর্মরত আছেন। নিম্নে তার ভাষায় বর্ণনা করা হলো :
“আমি আমার দুই বছর ধরে বিয়ে করা বউয়ের বাসায় গেছিলাম, অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে। শশুর কম দেনমোহর ও আরো কিছু কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আমি অল্প দেনমোহর, যা আমার সামর্থ ছিল, বিয়ের সময়েই নগদে পরিশোধ করেছিলাম। উনি কাজী ডেকে দেনমোহর বেশি করার কথা বলেন, আমি কমিয়ে রাখতে বলি। [বিয়েটাতে আমার কিছুটা ভুল ছিল, সেটা মিউচুয়ালি আলোচনা অ্যক্সেপ্টেট হওয়ার পরে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল প্রায় সাত/আট মাস আগে। পরে এটা উনি অস্বীকার করেন]। এসময় কেউ সাংবাদিককে কল দেয়। আমি যাওয়ার পরে দেখতে পাই আমার স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে, উনারা বিভিন্ন মিথ্যা ও মনগড়া কথা বলছিলেন আমার নামে। এরপর সেগুলো যাচাই করার জন্য আমার ওয়াইফকে সামনে হাজির করার কথা বললে উনি রাজি হননি। বা কেউ গিয়ে তার কাছে কথাগুলোর সত্য মিথ্যা যাচাই করে আসবে, এমন কথাতেও খুব জোরে না করেছেন। ভিডিওটায়, আমি অনেক প্রশ্নের উত্তর দেইনি অনেক মানুষ ওখানে ঝামেলা করছিল বলে। তাছাড়া, অত মানুষের মধ্যে একা ছিলাম বলে নার্ভাস ছিলাম। সেটা ভিডিও দেখে বোঝা যায় সহজে।
স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে আমি ওখানে নতুন গেছি। কিন্তু তা নয়, এর আগেও আমি ধানতৈর শশুরবাড়িতে গেছিলাম, বিয়ের অনুষ্ঠান করতে। দেনমোহর সম্পর্কিত আলোচনা ও দরকষাকষির মাঝে সাংবাদিক মহোদয় এই সাক্ষাৎকারের জন্য প্রশ্ন থ্রো করছিলেন।
আমার ওয়াইফ রেগুলার বাড়ি যাতায়াত করত। সবশেষ সে সাতদিন আগে বাপের বাড়ি যায় স্বাভাবিকভাবেই, তিন দিনের সময় নিয়ে। চারদিনের দিন সে আমাকে জানায় তার দুর্বল লাগছে, কয়েকদিন দেরি হতে পারে। [এর আগে যেকদিন সময় নিয়ে যেত, সেই কদিন থেকে চলে আসত, আমার শশুর তাকে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যেতেন, নিয়েও যেতেন]। পরেরদিন কয়েকবার ফোন করে সাড়া না পেয়ে আমি শশুরকে ফোন করি, উনি বলেন মেয়ে অসুস্থ, দুর্বল। কথা বলতে পারছে না। দাঁতে দাঁত লাগছে, তুমি এসে দেখে যাও। এই কথা শুনে আমি দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে ছুটে যাই, লাস্ট ট্রিপে। ওদের বাড়ির গেটে শশুরকে সালাম দিলে উনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তুমি কেন এসেছ, না জানিয়ে। আমি বলি, এটা কেমন কথা, আপনি আমাকে বাড়ির গেটে দাঁড় করিয়ে এভাবে কথা বলছেন কেন। তাছাড়া, একটু আগে আপনিই তো বললেন এসে দেখে যাও। সেজন্য এসেছি। এরপর উনি বলেন যে এখানে বসো, আমি আসছি। তারপর ঘণ্টাখানেক ফোন করে এসব লোক জোগাড় করেন।
শশুর একবার, শাশুড়ি একাধিকবার আমার বাসায় এসেছিলেন। আমার বাসায়ও উনারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছিলেন, আমি উল্টা সেগুলোর জন্য উনাদের কোনো অসম্মান করিনি। স্ত্রী আমাকে পছন্দ করতেন, সেটা উনাদের পছন্দ ছিল না। উনারা বলতেন আমি নাকি তাদের মেয়েকে যাদু বা হিপনোটাইজ করেছি। আমার সামনে এলে যদি উনাদের মিথ্যাগুলো প্রকাশ হয়ে যায়, সেজন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাথে দুইতিন জন মহিলা এনগেজ করা হয়েছিল ।আলাদা করে তার পাহারায়, যাতে সে বেরিয়ে আসতে না পারে।
এ বিষয়ে তার শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

দুর্গাপুরে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

Share the post

Share the postতোবারক হোসেন খোকন,দুগার্পুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আফসানা। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ইউএনও’র কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় দুগার্পুর উপজেলার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ্। সাবেক সভাপতি মো. […]

উপজেলা থেকে গ্রাম বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে দুগার্পুর মানববন্ধন

Share the post

Share the postদুগার্পুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুগার্পুর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন থেকে সাতটি গ্রাম কেটে অন্য উপজেলায় নেয়ার প্রতিবাদে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খলিফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি ঈমাম হাসান আবুচান, সাবেক […]