শহীদের স্বীকৃতি পেলেন সেই যুবক, পরিবার পেল ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নোয়াখালীর চাটখিল থানা থেকে লুট করা অস্ত্রে প্রাণ হারানো মো. ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজকে শহীদের স্বীকৃতি ও ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গেজেটভুক্ত শহীদের তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার (৩০ মার্চ) নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৭ মার্চ জেলা প্রশাসক নিজেই মো. ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজের বাবা মো. হাবিবুর রহমানের হাতে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন।ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ওয়ারী মিয়া বেপারী বাড়ির মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে
জানা যায়, গত ২৭ মার্চ জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ১৪ জন শহীদ পরিবারের উত্তরাধিকারীদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র, ১০ জন ‘এ’ ক্যাটাগরি আহতদের মাঝে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা এবং ৪০ জন ‘বি’ ক্যাটাগরি আহতদের মাঝে জনপ্রতি ১ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের ১ম পর্বের চেক বিতরণ করেন। সঞ্চয়পত্র ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল, নোয়াখালী সেনাবাহিনী ক্যাম্পের লে. তানভীর আহমেদ, নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখিনুর জাহান নীলা, ছাত্র সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান ও ফরহাদুল ইসলামসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মো. ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজকে জুলাই আন্দোলনে ‘আত্মঘাতিকভাবে মৃত’ আখ্যা দিয়ে তার নাম গেজেটভুক্ত শহীদ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।