মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজন জিজ্ঞাসাবাদ করছে

Share the post
জিল্লুর রহমান সাগর
মাগুরা  প্রতিনিধি
মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ শনিবার (১৫ মার্চ) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রোববার  মাগুরা সদর থানা ওসির কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি হিটু শেখ জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা-সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকের জন্য সিআইডিকে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কিছু জানাতে চাননি।সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো.মিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক সব্যসাচী রায় হিটু শেখের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। হিটু শেখ জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- নির্জন ঘরে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে হিটু শেখকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের  নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ওই ঘটনার পর প্রথমে শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে মাগুরা নেওয়া হয়। পরে শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া শিশুটির মা গত ৮ মার্চ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। আসামিরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার প্রধান আসামি নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। অন্য তিন আসামি—হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, বড় ছেলে রাতুল শেখ ও ছোট ছেলে সজীব শেখ (শিশুটির বোনের বর)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

শ্রীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

Share the post

Share the post মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের গোয়ালদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল হাই বিশ্বাসের ছোট ছেলে। নিহতের চাচা বাবু বিশ্বাস জানান, শনিবার রাত ৯ টার দিকে মিরাজুল লাইট চার্জে দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারাত্মক আহত হয়। […]

শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আন্তঃ শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন 

Share the post

Share the postজিল্লুর রহমান সাগর শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আন্তঃ শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী খেলায় দশম শ্রেণি একাদশ ও ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণি যৌথ একাদশ অংশগ্রহণ করে। এ সময় দশম শ্রেণি ২-০ গোলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি […]