বেস্ট সেলার বুকে ৬ষ্ঠ স্থানে দেবাশীষ পাল দেবুর গ্রন্থ
কয়েক বছর আগে বই মেলা শেষে কিছু লেখক-প্রকাশকের একটা আড্ডা হচ্ছে। মেলা শেষে সবাই নিজের মতো একটা অঙ্ক মেলায়। তাৎক্ষণিক সেই অঙ্কে পরের বছরের মেলার কিছু ভাবনাও থাকে।তো সেই আড্ডায় প্রকাশকরা চেনা লেখকদের কাছে ‘আগামী বার এরকম কিছু করেন…’, ‘ওরকম একটা জিনিস সামনের বইমেলায় চাই…’ এরকম দাবি জানাচ্ছেন।
এ তো গেল কয়েক বছর আগের কথা। বর্তমান সময়ে মেলা ছাড়াও চোখে পড়ার মত বই বিক্রি হচ্ছে অনলাইন বুক শপে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে বই শব্দটা মাথায় আসলেই দেশের জনপ্রিয় অনলাইন বুক শপ রকমারি ডট কম এর লোগোটা চোখের সামনে চলে আসে।সেই রকমারির বেস্ট সেলার বুকে ষষ্ঠ স্থান ধরে রেখেছে দেবাশীষ পাল দেবু’র লেখা প্রবন্ধগ্রন্থ ‘শেখ ফজলুল হক মনি ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস‘।
দেবাশীষ পাল দেবুর বড় পরিচয় তিনি একজন সফল সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবসংগঠক। এই পরিচয়ের বাইরেও তিনি একজন লেখক। তার লেখক সত্তার পরিচয় আমরা সবাই জানি। যুক্ত আছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে। ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে রাজনীতির পথচলা শুরু। তারপর থেকে আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে, মিছিলের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় কয়েকবার কারাবরণ করেন এবং চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে গোলাম আজমের জনসভা প্রতিহত করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
দেবাশীষ পাল দেবু’র দীর্ঘ জীবনে তার চিন্তা-চেতনা ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছেন। লেখার মাধ্যমেও যা প্রকাশিত। তবে তা শুধু রাজনৈতিক ভাবনাই নয়, তার সাহিত্যমূল্যও আছে। তার পরিশীলিত প্রবন্ধে রয়েছে শিল্পের অনুপম ছোঁয়া। রয়েছে চিন্তার গভীরতা। জীবনের যেকোনো অনুষঙ্গ তার কলমের জাদুতে ফুটে ওঠে। সেইসঙ্গে পাওয়া যায় তার অপূর্ব দেখার ক্ষমতাও।রাজনীতির মাঠের অভিজ্ঞতা ও পঠন-পাঠনের সুযোগে তাঁর লেখা প্রবন্ধগুলো নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ‘শেখ ফজলুল হক মনি ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস‘। বইটি রাজনীতি সচেতন পাঠকের মনের খোরাক যোগিয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতিবিদদের রুচি, পড়াশোনা, সাংস্কৃতিক মানদণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি দেশ বা রাষ্ট্র এগিয়ে চলে। দেবাশীষ পাল দেবু যার নজির স্থাপন করেছেন বলে ধারণা নেটিজেনদের।