পায়রাবন্দরে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে ইকরামুল মুসলিমীনের ত্রাণ বিতরণ
জুয়েল ফরাজী, মহিপুর প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (২ জুন) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে পটুয়াখালীর পায়রাবন্দর এলাকায় লালুয়া ইউনিয়নে ও মহিপুরের হাজীপুরে দুই শতাধিক পানিবন্দি পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করে সংগঠনের সভাপতি মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ। উপকূলীয় অঞ্চলগুলো বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে, ঘরবাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবারগুলো। মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, ঢাকা-সহ সারাদেশে সাধ্যানুযায়ী গরীব, অসচ্ছল, অসহায়, কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় অঞ্চলেও জরুরি খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করেছি। তাদের সহায়তা কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি। মুফতী মিছবাহ’র নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন—

কলাপাড়া পোস্ট গ্রাজুয়েট ক্লাব, কুয়াকাটা তরুণ ক্লাব, মহিপুর ব্রাদার্স ইউনিট, বাংলাদেশ ফেয়ার মাইন্ড সমাজসেবা সংগঠন, বয়েজ ক্লাব ও জন্মুভূমি কুয়াকাটা’র উদ্যোমী তরুণরা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। কলাপাড়া পোস্ট গ্রাজুয়েট ক্লাবের অন্যতম সদস্য কামাল হাসান রনি ও কুয়াকাটা তরুন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ-সহ সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃদিতে বলেন— ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনকে মোবারকবাদ জানাই। তারা বৈশ্বিক ও প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে কর্মহীন অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য : ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন করোনাকালে লকডাউনের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রে, জনসচেতনতায় মাইকিং, নগদ অর্থ বিতরণ, ৩ দফা রমজান প্যাকেজ, ঈদ প্যাকেজ ও রান্নাকৃত খাবার, ইফতার ও সাহরি বিতরণ করেছে। সারাদেশে ৭০টি টিমের মাধ্যমে করোনায় মৃতের কাফন-দাফনের কাজ চলমান আছে তাদের। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, হিজরা কিংবা বেদে থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি।