নেত্রকোনায় ডিমের দাম আরও বেড়েছে, আগের মতোই মাছ-মাংস-সবজি

Share the post
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছে প্রায় আড়াই লাখ ডিম অনেকেই বলাবলি করতেছে। এতেও ডিমের বাজারে স্বস্তি আসেনি বরং সপ্তাহ ঘুরে ডজনে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ,সবজি ও মাংস। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, গরুর মাংস ও বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৭৮০ টাকায়। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনায় কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। নেত্রকোনা শহরের মাছ বাজারে ডিম দোকানের ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিপিস ডিম পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। দোকানিদের দাবি সাম্প্রতিক বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উৎপাদন কমছে। আবার বর্ষার এই সময় চাহিদা বেশি থাকে। সবমিলে এখন ডিমের দামটা একটু বেশি।
ডিমের ব্যবসায়ী স্বপন ব্যাপারী বলেন, শুনলাম ডিম আমদানি হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো আমদানি করা ডিম দেখিনি। এক-দুই লাখ ডিম আমদানিতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়। তিনি আরও বলেন, দেশি ডিম আকারে বড় হয়। অন্যদিকে আমদানি করা সাদা রংয়ের ডিম আকারে ছোট হয়। সাদা ডিমের চাহিদা কম। উৎপাদন বাড়লে দাম কমে যাবে। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি বলেন, ভারতে একটা ডিমের উৎপাদন খরচ পাঁচ টাকা, অথচ বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা। আমাদের এখানে দ্বিগুণ কেন এটা সরকারের আগে খতিয়ে দেখতে হবে। প্রাণিসম্পদ ও ফিড সিন্ডিকেট মাফিয়াচক্র বহাল রেখে ডিম আমদানি করায় সংকট আরও বাড়বে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও সবজির বাজার। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নেত্রকোনা শহরের আরও বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া করলা ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, রসুন ২০০, পেঁয়াজ ১১০, আদা ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৩৮০ টাকা, হলুদ ৩৪০ ও জিরা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৪, নাজিরশাইল ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার কম বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০, স্বরপুটি ২০০, পাঙাশ ২০০, সামুদ্রিক লইট্টা মাছ ২০০ টাকা, বড় রুই মাছ ৪০০-৪৫০, মেনি মাছ ২০০ টাকা, খইলশা মাছ ২০০, নলা মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ইবি’র লালন শাহ হল পরিদর্শনে উপাচার্য

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের সার্বিক অবস্থা ও খোঁজখবর নিতে সশরীরে হল পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি হল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় হলের লাইব্রেরীর জন্য নিজ অর্থায়নে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর […]

ইবিতে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মুগ্ধ সরোবর এলাকায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি কুষ্টিয়া শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর অঞ্চলপ্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জহিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শাখার […]