নির্বাচন পরিচালনায় মন্ত্রী-এমপি-মেয়র, যা বললেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মন্ত্রী-মেয়র, এমপি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি আইন ও নিয়মবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বিষয়টি সত্য হলে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেলে একুশে পত্রিকার সাথে এক টেলিফোন আলাপে তিনি এ কথা জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর ২২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মন্ত্রী-এমপি, মেয়র বা সমমর্যাদার কেউ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উক্তরূপ ব্যক্তি তার ভোট প্রদানের জন্য শুধু ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। কাজেই ভোট প্রদান করা ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো প্রচার-প্রচারণায় এ জাতীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেযর প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমাদের আইনে স্পষ্ট বলা আছে, এধরনের ব্যক্তিরা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো মিছিল-মিটিং শোডাউন করতে পারবেন না। এখন উনারা বাসায় বা অফিসে বসে কিছু যদি করেন সেক্ষেত্রে তো আমরা কিছু করতে পারি না। সে ক্ষমতা আইন আমাদের দেয়নি।
এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পক্ষের অভিযোগ পাননি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেলে যাচাই-বাছাই করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে থাকতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী তারা সেটা পারেন না। কথা হচ্ছে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে যে উনারা আছেন, তা কি তাদের পক্ষ থেকে স্টেটমেন্ট বা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে? তারা কি সেটা স্বীকার করেন? যদি স্বীকার না করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না তখন কিছু করার থাকে না।