

কবির হোসেন রাকিব (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রভাব খাটিয়ে অন্যের বাগিয়ে নিয়ে বাণিজ্যের। আখড়া বানানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স কুসুম রানী পাইক। গত সোমবার এক ভুক্তভোগী নারীর তথ্যপ্রমাণে এমনটাই পাওয়া গেছে।জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স কুসুম রানী পাইক বিগত ২৫/২৬ বছর আগে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। একেক সময় একেক সরকারের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় গনিষ্ঠ ও সখ্যতাসহ বিশাল সিন্ডিকেট তৈরী করে তোলেন। তখন নিরাপদ মনে করে হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকারী বরাদ্ধকৃত ঔষধ তার নিজস্ব নারী-পুরুষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিগোপনে বিক্রি করেন। এছাড়া তার পরিচিত সম্পর্কিতদের সুবিধামত তাদের দিয়ে খুশি রাখেন। এমন লেনদেন অতিপুরনো। আর এমন অনিয়ম তার কাছে ডাল-ভাতের মতোই।
একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরে প্রায় ১৮০ থেকে ১৯০ জন প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা করা হয়েছে। প্রতিরোগী থেকে তিনি ২ থেকে ৫ হাজার টাকা বিশেষ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ।দুঃখের বিষয় তিনি নার্স। কিন্তু সুপার ভাইজার ও ইনচার্জের স্থান দখলে রেখে গরীব মানুষ থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। বিগত ২৬ বছরে হাসপাতালে প্রসূতি রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন ৭ হাজার ৮০০ জন ।
তিনি নদীভাঙা রোগীসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ইনচার্জের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে কখনো অন্যত্রে বদলি করান টাকার মাধ্যমে। আবার কখনো তাকে চেয়ারে বসতে দেন না প্রভাব খাটিয়ে। সুপার ভাইজারের পদের একই চিত্র দেখা গেছে। এবিষয়ে বিষয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স কুসুম রানী পাইক বলেন, আমি সামান্য কিছু টাকা নেই। অন্যদিকে ওষুধ বিক্রির বিষয়টি তিনি আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে তেলে বেগুনে গরম হয়ে ফোন কেটে দেন।