

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ও ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মধ্য সৃষ্টি নয়াবাড়ি-হাজিগঞ্জ আন্ত জেলা ফেরিঘাট টি প্রতিবছর সরকারের কোষাগারে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব জমা পড়ে।এ বছর ঘাটটি ৮২লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় টেন্ডার হয়েছে। ঘাটতি বিলুপ্ত করার জন্য চরভদ্রাসন উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উঠে পড়ে লেগেছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট ঘাট ক্যালেন্ডার ভুক্ত করে ১০থেকে ২০হাজার টাকায় প্রতিটি ঘাট বিক্রি করে আন্তজেলা ঘাটে বাধার সৃষ্টি করছে। কোথাও কোথাও বড় ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করছে। এতে আন্তজেলা ঘাটটি কেউ আর ইজারা নিতে আগ্রহী দেখাবে না। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে নয়াবাড়ি -হাজিগঞ্জ আন্তঃজেলা ফেরি ঘাটের সাবেক ইজারাদার আজিজ পাটনি বলেন,২/৩বছর যাবত উপজেলার চেয়ারম্যানরা দু একটি ঘাট ১০থেকে ১২হাজার টাকার মধ্যে ইজারা দিয়ে আমাদের সাথে চরম অসৌজ্জন্যমূলক আচরণ করে, উপজেলা প্রশাসন ও সে ভাবে সহযোগিতা করে না এতে ব্যবসায় বড় অংকের লোকসান গুনতে হয় যে কারণে এখন আর এই ঘাটের টেন্ডার দেইনা।
এ বছরের ইজারাদার আলী প্রামানিক বলেন, কমিশনার স্যারের নির্দেশে এ বছর ঘাটগুলি ইজারা বন্ধ থাকলেও চেয়ারম্যান সাহেবেরা বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করছেন কিভাবে ঘাটটিকে অকার্যকর করা যায়। এতে সরকারের বিপুল অংকের রাজস্ব হারাবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাজাহান সিকদার বলেন, অনেক আগে নয়াবাড়ি -হাজীগঞ্জ আন্তঘাটটি ইজারা নিয়ে ছিলাম তখন ঘাটটির সীমানা ছিলো উত্তরে মানিকগঞ্জের ঝিটকা, দক্ষিনে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন, পশ্চিমে ফরিদপুর কোতালীর সীমানা সাইনবোর্ড, পূর্বে বার্রা, নয়া বাড়ি। তখনকার চেয়ারম্যানরা আমাদের বাধার সৃষ্টি করত না প্রশাসন সহযোগিতা করতো।