কিশোরগঞ্জে নামিদামি কোম্পানির নামে ডালডা-পামওয়েলের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল ঘি!
আকিব হৃদয় ।। কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে নামিদামি কোম্পানির নামে তৈরি ভেজাল ঘিসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সিলগালা করে দেয়া হয় কারখানাটি।বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব জানায়, শহরের উপকণ্ঠে গাইটাল মকসুদপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ ইমন অনেক দিন ধরে নিজের বাড়িতে নকল ঘি তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠানে খাবার তৈরিতে বাবুর্চিদের মাধ্যমে ওই কারখানার ঘি ব্যবহার হচ্ছিল।
প্রতিটি ঘিয়ের কৌটা বিক্রির জন্য টোকেনের মাধ্যমে বাবুর্চিদের ২০ টাকা করে দেয়া হতো। ডালডা আর পামওয়েলের সঙ্গে ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল বাঘাবাড়ির ঘিসহ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নামে ভেজাল ঘি।গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইটালের ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব-১৪। সেখানে কয়েকটি কক্ষে এ সময় নকল ঘি তৈরির সময় হাতেনাতে আটক করা হয় কারখানার মালিক মহিউদ্দিন আহমেদ ইমনকে।
ওই বাড়ির কয়েকটি কক্ষে মজুত করা ছিল বিপুল পরিমাণ ঘি। বড় বড় কার্টনে প্যাকেট করে এগুলো বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। পরে ভোক্তা অধিকার আইনে কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান জানান, এসব ঘি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এজন্য ভোক্তা অধিকার আইনে কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভেজাল ঘিসহ অন্যান্য উপকরণ নষ্ট করা হবে।মহিউদ্দিন আহমেদ ইমন নিজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পাঁচজন কর্মচারী রেখে ভেজাল ঘি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলেন বলে জানান র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শোভন খান।