এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টিকা মজুত আছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহামারি করোনা প্রতিরোধে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ মোট দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মজুত টিকার পরিমাণ ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ।বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়।মো. শহীদুজ্জামান সরকার লিখিত প্রশ্নে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার দেশের করোনা মহামারি রোধকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত কতজনকে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে? দেশে কত টিকা মজুত আছে এবং আগামী কতদিনের মধ্যে কতটি টিকা আনার চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্বের সকল উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে এ মধ্যে কেবলমাত্র ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট হতে সাড়া পাওয়া যায়। আর অগ্রিম টাকা দিয়ে ৩ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে টিকা প্রাপ্তির কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কেবলমাত্র চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি হতে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা সংগ্রহের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর মধ্যে সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। মহামারি করোনা প্রতিরোধকল্পে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ১,৮২,৮৯,০১৮ জন