অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন দেখলো মিয়ানমার
মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি ও সংঘাতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয় অন্তত ৩০ জন। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনের পর বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে গণতন্ত্রকামীরা। আজও রাস্তায় নেমেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালে সংবাদকর্মীসহ তিনশোর বেশি লোককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার যাকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ‘সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন’ হিসেবে।সেনা অভ্যুত্থানের এক মাস পরও উত্তাল পুরো মিয়ানমার। বিভিন্ন শহরে চলছে গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভ। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরইমধ্যে আরেকটি রক্তক্ষয়ী দিনের সাক্ষী হল মিয়ানমার। বুধবার সকাল থেকেই ইয়াঙ্গুন-মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে পুলিশ -বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন শহরে ঘটে হতাহতের ঘটনা।
এছাড়া বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের এক সংবাদকর্মীসহ ইয়াঙ্গুন ও বিভিন্ন শহর থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী । এদিকে মিয়ানমারের ‘জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস’ বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে তাদের আরও অন্তত দুটি বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বলে অন্যান্য আন্দোলনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অং সান সু চিকে মুক্তি দিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট- আসিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানোর একদিন পর এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটল। এর আগে, রোববার পুলিশের গুলিতে মারা যায় ১৮ বিক্ষোভকারী। গ্রেপ্তার হয় প্রায় পাঁচশো মানুষ। এ ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানায় বিশ্ব সম্প্রদায়।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানানোর পরদিনই এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটল।
এক মাস আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সে দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ ও রক্তপাত ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।