শরণখোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার এক ছাএকে নির্যাতনের অভিযোগ
মোঃনাজমুল ইসলাম,শরণখোলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সপ্তম শ্রেনীতে পডুয়া সাব্বির সওদাগার (১২) নামর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে ২০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল অনুমান সাতটার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর (রসুলপুর) গ্রামে । ঘটনার পর গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্যে ভর্তি করেন । শিক্ষার্থী সাব্বিরের বাবা কৃষক মোঃ ছগির সওদাগার বলেন , মঙ্গলবার সকালে আমার পালিত একটি গরু পার্শ্ববর্তী ভোলা নদী সংলগ্ন ৩৫/১ পোল্ডারের নুতন ভেরী বাঁধের পার্শ্বে রোপনকৃত সামাজিক বনায়নের মধ্যে ঢুকে পড়ে । এ সময় সাব্বির গরুটি ফিরিয়ে আনতে গেলে বনায়নের পাহারাদার এবং আমার প্রতিবেশি আঃ জলিল চাপরাশী (৬০) ও তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫), একজোট হয়ে সাব্বিরকে বেধাড়ক পিটুনি শুরু করেন । এক পর্যায়ে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সাব্বিরকে মারধর বন্ধ করেন জলিল ও পিয়ারা কিন্তু গরুটি তারা আটকে রাখেন । পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহয়তায় ওই দিন ছেলেটাকে হাসপাতালে ভর্তি করি । এখন কিছুটা সুস্থ হলেও সাব্বিরের সারা শরীরে এখনো ব্যাথা । আমি প্রসাশনের কাছে আমার ছেলে নির্যতিনের বিচার চাই । তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলিলের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী ওই ছেলেকে কোনো মারপিট করেন নাই । সামাজিক বনায়নের গাছ পাহারার দ্ধায়িত্ব আমাদের । বনায়নে ওদের গরু ঢুকে ৩/৪টি গাছ নষ্ট করলে আমি নিষেধ করি । তা না শুনে সাব্বির উল্টো আমাকে কটুক্তি করেন । তাই আমি ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বিরকে ২/৩টি পিটান দিয়েছি।