ভাড়ী বর্ষন ও উপরের পানি নেমে আসায় চলনবিলের বন্যা পরিস্থিতি বিপদ সীমার কাছে।
কাওছার আহ্ম্মেদ ,ডাহিয়া (সিংড়া)প্রতিনিধি। কয়েক দিনের টানা বর্ষন এবং উজানের পানি নেমে আশায় চলনবিলের বন্যা পরিস্থিতি আবারো বিপদসীমার প্রায় কাছাকাছি পৌঁচেছে। বিপদ যেন কিছুতেই কাটছেনা চলনবিলের অসহায় বানভাসি মানুষের। বিগত দুই মাসের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের অনেক স্বপ্নকে কবর দিতে হয়েছে চলনবিলের হাজার হাজার বানভাসি অসহায় মানুষের।অনাহারে অর্ধাহারে গৃহহীন হয়ে থাকতে হয়েছে দিনের পর দিন। বৈশ্বয়ীক করোনা ও বন্যায় ঈদের আনন্দের মতো আনন্দও ছুতে পারিনি চলনবিল বাসির জীবনে।টানা দুই মাসের ভয়াবহ বন্যার পানি ক্রমান্নয়ে ক্রমেই বিপদসীমার নিচে নেমেযায়, ফলত জনজীবনে ফিরে আসে কিছুটা স্বস্থি।কিন্তুু দির্ঘ্য সময় গৃহছাড়া থাকার পরে,সবে ঘরে ফিরার পরেই নতুন করে বিপদাশংখ্যা।টানা কয়দিনের ভাড়ী বর্ষনে চলনবিলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারো বিপদসীমার কাছেই পৌঁচেছে।এতে করে চলনবিলের শত-শত কৃষক পরিবার হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ।নতুন করে পানি বৃদ্ধিপেয়ে ডুবে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৫০০/১৬০০ হেক্টর জমির রোপা ধান। নানা টানাহেঁচড়ার মধ্যেও বহুকষ্টে ঋনকরে টাকা সংগ্রহকরে জমিতে রোপন করা হয়েছিল রোপা ধান। অবশেষে ফিরতি বন্যায় সেই শেষ সম্বল টুকুও কেরে নিয়ে নিঃশ্ব হতে হলো চলনবিলের অনেক কৃষক পরিবারকে। তাই চলনবিলের অসহায় কৃষকের প্রাণের দাবি, সরকার এই সহায় সম্বলহীন কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও কৃষি ঋণ সহায়তা দিলে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতো এমনটা আশাবাদী চলনবিল বাসির।