দিঘীনালায় সাংবাদিক আবদুল জলিলের উপর সন্ত্রাসী হামলা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক আবদুল জলিল। গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিককে দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে সাংবাদিক আবদুল জলিলকে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। সাংবাদিক আবদুল জলিল চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত ‘‘সাপ্তাহিক চট্টবাণী’ পত্রিকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আহত সাংবাদিক আবদুল জলিল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি। এসময় হাফেজ হামিদুল্লাহ নামে একজন তাকে কথা আছে বলে বাহিরে আসতে বলে। বাসা থেকে বাহিরে পুকুর পাড়ে আসলে হঠাৎ আরো কয়েকজ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের পিটুনীতে তার হাত, বাহু, শরীর ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
“তুই কতো বড়ো সাংবাদিক হয়েছিস যে মেরুং এর নিউজ করিস, ডিলারের বিরুদ্ধে নিউজ করিস, তোকে মেরে তোর রক্ত দিয়ে গোসল করবো,দেখি তোর পাশে কে দাড়ায়’’ হামলার সময় সন্ত্রাসীরা এইরকম কথা বলে বলে তাকে মারধর করে বলে জানায় সাংবাদিক আবদুল জলিল ।
এ সময় সে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে তার হাত কেটে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে সাংবাদিক আবদুল জলিলকে দেখতে যান বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ পার্বন চাকমা জানান, আহত সাংবাদিকের বাম হাতের তালুতে কাটা ছিলো সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। বর্তমানে সার্বিকভাবে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
দিঘীনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দে জানান, হামলার বিষয়টি আমি জানতাম না, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আপনার মাধ্যমে (প্রতিবেদক) জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।