

মাহমুদুল হাসান ,স্টাফ রিপোর্টার ,চট্টগ্রাম বিভাগঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশন থেকে বিশেষ অভিযানে যুবলীগ নেতা ও সাবেক মেয়র হাক্কানীর ছোট ভাই মির্জা আজমকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল রোববার ভোরে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোলাম আজমের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মির্জা আজম ছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা রামিম পাঠান, খাড়েরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাইম মেম্বার, হামদু পাঠান, মেয়রের ড্রাইভার রুবেল মিয়াসহ কয়েকজনের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়।
অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপুরে নিয়মিত বৈঠক করে আসছিল। তারা প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মিথ্যা মামলা দেওয়া, এমনকি টাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এলাকায় আওয়ামী লীগের পূর্ণবাসন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। সাবেক ছাত্রনেতা রামিম পাঠান ও মেম্বার আবু সাইমের বিরুদ্ধে ৫ ই আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে যাতে ১ নম্বর আসামি আবু সাইম মেম্বার এবং রামিম পাঠান ৫ নম্বর আসামি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত মির্জা আজমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সহযোগী পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।