

মোঃরাশেদ খান ,ভোলা :শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি এসব এলাকায় পরিদর্শনকালে পূজামণ্ডপ কমিটি, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করেন। এ সময় ভক্তরা ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন এবং পূজা উদযাপনকে আরও উৎসবমুখর করে তুলতে তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
হাফিজ ইব্রাহিম এদিন ভোলা শহরের বাংলাবাজার শ্রীশ্রী হরি ঠাকুর মন্দির, দৌলতখান উপজেলার জয়বাংলা বাজার মন্দির, চরাঞ্চলের বিভিন্ন পূজামণ্ডপসহ মোট ৮টি পূজামণ্ডপে উপস্থিত হন। তিনি প্রতিটি স্থানে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের খোঁজখবর নেন এবং পূজা উদযাপনে কোনো প্রকার সমস্যা হলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
পূজামণ্ডপে উপস্থিত ভক্তরা বলেন, রাজনৈতিক নেতা হয়েও তিনি নিয়মিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়ান। শুধু পূজার সময় নয়, বছরের বিভিন্ন সময় তিনি সমাজসেবামূলক কাজ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকেন।
এ সময় হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, এটি সকলের আনন্দ ও মিলনমেলার উৎসব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলাই আমাদের মূল দায়িত্ব। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্য-মৈত্রীর ভ্রাতৃত্বময় বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে ন্যায়পরায়ণতা, সমতা ও সম্প্রীতির দৃঢ় বন্ধন।”
অনুদান ও শাড়ি বিতরণের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাঁরা বলেন, দেশের মানুষের সুখ-দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়ানোই হাফিজ ইব্রাহিমের রাজনীতির মূল আদর্শ।
স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির কমিটির নেতারা বলেন, হাফিজ ইব্রাহিমের এ ধরনের উদ্যোগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাঁর সহায়তায় পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া সহজ হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হয়।
ভোলা জেলায় মোট ৮৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতাও এ উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।