

ফাহাদ, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কে জড়িয়ে কিছু দৈনিক গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াত বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও আদর্শিক আন্দোলন। আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। জামায়াতে ইসলামী তার এই লক্ষ্য উদ্দেশ্যের আলোকে সকল কর্মসূচী পালন করে থাকে। অপরের ওপর নিজের মতকে চাপিয়ে দেয়া বা জোর জবরদস্তিমূলক কর্মসূচী জামায়াতে ইসলামী কখনো পালন করে না। বরং অতীত ইতিহাস হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীকে তার আদর্শ প্রচার ও সাংগঠনিক কাজে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, আমাদের নেতৃবৃন্দকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে হামলা, মামলা, গ্রেফতার ও রিমান্ডের মাধ্যমে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদেরকে কোথাও সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিদায়ের পরে দেশের সাধারণ জনগণের আগ্রহ ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী তার কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে । সাধারণ জনগণ দলে দলে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করছে। অথচ আমরা অতীব দুঃখের সাথে লক্ষ করলাম একটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে একটি অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যাতে উল্লেখ করা হয়েছে ” জামায়াতের মিছিলে যোগ না দেয়ায় দিন মজুর কে পিটিয়ে আহত করা হয়” কিন্ত
ঘটনার বিবরণে জানা যায় মোঃ আব্দুল হামিদ তুষার দীর্ঘদিন যাবৎ একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো এবং মেসে খেতো। মেসের যিনি খাবার সরবারহ করেন তিনি জানতে পেরেছেন মোঃ আবদুল হামিদ তুষার এখন শ্রমিকের কাজ না করে মাদকের ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছে, তার থাকা খাওয়ার টাকা বকেয়া পড়ায় পাওনাদার মোঃ রাশেদুল ইসলাম টাকা চাইতে যায় এবং তাকে বাড়ির রুম ছেড়ে দিতে বলে, টাকা না দিয়ে বরং সে একরোখা আচরণ করে। তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ইত্যবৎসরে বাড়ির মালিক সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানতে পেরে তাকে মেসের সদস্য হিসেবে সে বেড ছাড়তে বললে বাড়ির মালিক এর সাথে তার কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পাশের দেয়ালে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। আঘাতে সে আহত হয়। অথচ বাড়ির মালিক কখনো জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। বরং আহত হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং বাড়ি যাওয়ার জন্য ভাড়া দিয়ে দেয়। কিন্তু সে বাড়ি না গিয়ে যাদের সাথে মাদকের ব্যবসা করে তাদের পরামর্শে মিথ্যা গল্প সাজায়। এটি তার মাদকের ব্যবসাকে আড়াল করার একটি ফন্দি। মাদক ব্যবসায়ীরা একজন সাংবাদিককে এই সাজানো গল্প বললে সাংবাদিক বন্ধু হুবহু সেই ঘটনা তার হাউজে পাঠিয়ে দেয়। অথচ সেই সাংবাদিকের দায়িত্ব ছিল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সাথে কথা বলা কিন্ত তিনি কারো সাথে কথা না বলে এক পক্ষের কথা শুনে সংবাদ প্রেরণ করেছেন।
এই সংবাদে জামায়াতে ইসলামীর সুনাম শুধু ক্ষুন্নই হয় নাই। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে জনগণের মাঝে ভুল ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমারা প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য অত্র সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি এবং আপনাদের প্রকৃত ঘটনা অবহিত করলাম। যে সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদ ছাপা হয়েছে তারা আমাদের বক্তব্য প্রচার করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।