দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে খুন হলেন গৃহবধু তাছলিমা বেগম 

Share the post
আবু জাফর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ দাবীকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় হত্যার শিকার হয়েছেন তাছলিমা বেগম নামের এক গৃহবধু। প্রথমে তাকে শরীরের যৌনদারসহ বিভিন্ন স্থানে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এর এক পর্যায়ে স্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে তার পর গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহনন করেছে বলে অপপ্রচার চালায়। দাবিকৃত যৌতুকের মাত্র ১৪ হাজার টাকা না পেয়ে গৃহবধুর ঘাতক স্বামী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি  ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রামের মৃত চাঁদ আলী সরদারের ছেলে কামাল হোসেন এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধুর ছোট ভাই আসাদুজ্জামান।
 আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টম্বর) বেলা ১২টার সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তার লিখিত বক্তবে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থি ছিলেন তার সেজ ভাই মাওলানা মিজানুর রহমান।নিহত গৃহবধু সাতক্ষীরা তালা উপজেলার শিরাশনি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম শেখের মেয়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে গৃহবধুর ভাই সাজ্জাত হোসেন তার বোনের হত্যার বিচার ও খুনি কামাল হোসেনের ফাঁসি ও দ্রুত গ্রেফতার দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন ১৯৯৫ সালে আমার মেঝ বোন মোছাঃ তাছলিমা বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী যশোর জেলার কেশবপুর থানার ভান্ডারখোলা গ্রামের মুদি দোকানি মোঃ কামাল সরদারের বিয়ে হয়। আমার বোন তিন সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকে সে যৌওতুকের দাবিতে আমার বোনকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো । গত ৭ মাস পূর্বে বোড়  ছেলে রাহুল ইসলামকে সোদিআরবে পাঠানোর কথা বলে বোন তাসলিমার নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
 সে সময় তিন ভাই মিলে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। তবে আর কখনো যৌতুক নিবেনা বলে একটি মুচলিকা দিয়ে যায় তার স্বামী কামাল হোসেন ও বড় ছেলে রাহুল ইসলাম। কিন্তু এই ঘটনা যেতে না যেতেই গত ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও যৌতুক চেয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার বড় ভাই কষ্টে তাকে ওই দিন ০১৯৪৯২৮৭৫৮৬ নম্বারে তাৎক্ষনিক ৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে। আর বাকি টাকা ৩০ সেপ্টম্বর দিবো বলে ঘাতক কামাল হোসেনকে আশ্বস্থ্য করি। কিন্তু বাকি ১৪ হাজার টাকা না পেয়ে ২৮ সেপ্টম্বর আমার বোনকে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কামাল হোসেন। পরবর্তী হত্যা কান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গলায় রশি দিয়ে বাড়ীর ঘরের আড়ায় টানিয়ে ঝুলিয়ে দেয়।
এঘটনা জানতে পেরে আমার ভাই মাওলানা মিজানুর রহমান কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করান। পরবর্তীতে ঘাতক খুনি কামাল সরদার লাশ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায় বিষয়টি কেশবপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করলে তার হস্থক্ষেপে রাতে লাশ দাফন হয়।আমরা ইতি মধ্যে খুনি কামালের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। থানার ওসি জানান মরদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না অসা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। ইতি মধ্যে খুনি কামাল হোসেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে যশোর সদর হাসপাতালে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

খুলনা পাইকগাছার বিধান মন্ডলের কৃষিতে সাফল্য

Share the post

Share the postসৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা পাইকগাছা উপজেলার বিধান চন্দ্র মন্ডল এক বছর আগে ও পেশায় ছিলেন একজন মৎস্যজীবী। সরকারি খাল ও বদ্ধ নদী ইজারা নিয়ে করতেন মাছ চাষ। এভাবেই মাছ চাষ করে কোন রকমে চলতো সংসার চললেও ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। পূর্বের মতো উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারের […]

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিন বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি

Share the post

Share the postসৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই এক সাংবাদিক ও এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে। তিন বাড়ি থেকে চোরেরা নিয়ে গেছে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল। সর্বশেষ চুরির ঘটনাটি পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা গোবিন্দ ঘোষের […]