করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ায় ফটিকছড়িতে দুই বাড়ি লকডাউন
নোমান বিন খুরশীদ (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ায় ফটিকছড়িতে দুই কর্মচারীর বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। শনিবার উপজেলার নানুপুর ও পাইন্দং ইউনিয়নের দুটি বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেয় প্রশাসন। আগামী ১৪দিন দুটি বাড়ির কেউই বাইরে বের না হতে বিধি নিষেধ অারোপ করা হয়েছে। প্রসংঙ্গত, শুক্রবার ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার ৫০ বছর বয়সী সাইফুদ্দিন মানিকের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নানুপুর গ্রামের মান্নান ডাক্তার বাড়ির হোসাইন সওদাগরের বড় পুত্র। তিনি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় নিজস্ব ভবনে বাস করতেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তার দোকানে চাকুরী করতেন নুরুল ইসলাম ও এরশাদ। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম, ওই ব্যবসায়ীর একই বাড়ির সিদ্দিক অাহমদের ছেলে। অপরজন এরশাদ পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের খালাছির বাড়ির অাহমদ ছাফার ছেলে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, শুক্রবার শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করে দুজন করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এদের একজনের বয়স ৩৫, অপরজনের বয়স ৫০। দুজনই পেশায় ব্যবসায়ী। তবে দুই জনের কেউই প্রবাসী ছিলেন না। কিন্তু মানিকের ভাই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁর থেকে সংক্রমণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, ‘ফটিকছড়িতে দুটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। দুই বাড়ির সদস্যদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’