

জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম হত্যা মামলায় আট বছর পলাতক থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মিলন সরকারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। সোমবার ১১ই আগস্ট সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার একটি গ্রামে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাজমুল ইসলামকে ২০১৫ সালে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর পর পরিবারটি ন্যায়বিচার পেতে কঠোর পরিশ্রম করে আসছিল। এই মামলায় আদালত মো. মিলন সরকারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিল। কিন্তু রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দীর্ঘদিন ধরে মিলন দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে রাখতে বিভিন্ন নামে বসবাস করতেন।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখা তার গতিবিধি ট্র্যাক করে এবং অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘এই গ্রেপ্তার আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
নাজমুলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই গ্রেপ্তারে সন্তুষ্ট এবং আশাবাদী যে বিচারের প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূলত ব্যবসায়িক বিরোধ কাজ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্রেপ্তার দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপনে সহায়ক হবে। এর ফলে অপরাধীরা জানবে যে, অপরাধ করে পালিয়ে থাকা যায় না, আইনের হাত তাদের শেষমেশ ধরবেই।
এই ঘটনা সিরাজগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই গ্রেপ্তারের ফলে অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই গ্রেপ্তার এবং বিচার প্রক্রিয়া সমাজে আইন ও শৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা আরো শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধরনের তৎপরতা জরুরি।