

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: আলিফুল ইসলাম আলিফ: রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে আজ ৩০ জুন (সোমবার) সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী ও বর্ণাঢ্য ফল উৎসব। কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসবে পরিবেশিত হয় দেশীয় মৌসুমি নানা রকম ফল। উৎসবটি আয়োজন করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, লটকন, পেঁপে, আনারস, জামরুল, ড্রাগন ফলসহ দেশীয় বিভিন্ন ফল পরিবেশন করা হয়। এ আয়োজন প্রাণ পায় কলেজের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে।
ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলি মুখোপাধ্যায়, উপাধ্যক্ষ ফরিদা ইয়াছমিন, অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ কলেজের বিএনসিসি, গার্লস গাইড, ডিবেটিং ক্লাব, আর্টস ক্লাব, রোভার স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, সাংস্কৃতিক সংসদ ও অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা।
উপস্থিত ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল, ছাত্রশিবির শাখার সভাপতি মো. নূরুন্নবী ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে অধ্যক্ষ ড. কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি পেশাগত জীবনে বহু দেশ ঘুরেছি। মালয়েশিয়ার আম, থাইল্যান্ডের পেঁপে কিংবা অন্যান্য দেশের পেয়ারা খেয়ে বাংলাদেশের ফলের স্বাদ কখনও পাইনি। আজকের এই আয়োজনে যেন বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক ঐতিহ্য ও স্বাদ একত্রিত হয়েছে এক টেবিলে।”
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক সমিতির এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন তাদের সৃজনশীলতার প্রকাশ এবং পারস্পরিক সম্প্রীতির নিদর্শন।
উপাধ্যক্ষ ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, “সাংবাদিক সমিতি কেবল সংবাদ পরিবেশনেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা তাদের সৃজনশীলতা এবং মিলনমেলার মাধ্যমে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে।”
ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “কলেজ সাংবাদিক সমিতি সত্যনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এই উৎসবে উপস্থিত থাকতে পেরে আনন্দিত।”
ছাত্রশিবির সভাপতি মো. নূরুন্নবী বলেন, “গতানুগতিক ধারার বাইরে এমন একটি আয়োজন আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”
সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা বলেন, “ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ছাড়াও আমরা চাই একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে, এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। আজকের এই আয়োজন তারই অংশ। কলেজের দুটি প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক টেবিলে একত্র করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে আমরা তা অনেকটা সফলভাবে করতে পেরেছি।”
এই আয়োজনটি সবার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক চেতনার সেতুবন্ধন গড়ে তোলে। উপস্থিত সবাই এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানান।