

আশিকুর রহমান, নরসিংদী : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় পৃথক দু’টি ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ তিনজনকে আটক করেছে রায়পুরা থানা পুলিশ। অপর আরেক ঘটনায় একই উপজেলা থেকে এক চাকরিচ্যুত পুলিশের সদস্যের রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করেছে ওই একই থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) সুজন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটকৃতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দা গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের ইসলাম (১৪) এবং মৃত আরিফুল ইসলাম খোকনের ছেলে আজিজুর ইসলাম (১৩)। এসময় শরিফুল ইসলামের কাছে থেকে একটি শর্টগান ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় বেশকিছু উঠতি বয়সের যুবক সন্দেহজানক ভাবে ঘুরা ফেরা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আদিল মাহমুদের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার ঘোষ, উপপরিদর্শক জাকির সহকারী উপপরিদর্শক আশরাফ সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালাতে গেলে পুলিশ শরিফুল সহ দুই কিশোরকে আটক করে। পরে শরিফুলের দেহ তল্লাশি করে তার কোমড়ে গোঁজা অবস্থায় একটি শর্টগান ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুই কিশোরকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে থানা নিয়ে আসা হয় বলে জানান।
অপর আরেক ঘটনায় বুধবার সকালে একই উপজেলার চাঁদেরকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দা ব্রিজ সংলগ্ন কাঠ বাগানে চাকরিচ্যুত এক পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে রায়পুরা থানা পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন, রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দিঘলদীকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জুয়েল (৩৬)। তিনি একসময় পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি চাকরিচ্যুত বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদেরকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দা ব্রিজ সংলগ্ন কাঠ বাগানে অজ্ঞাত একব্যক্তির রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় মরদেহের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে নিহত ব্যক্তিকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অপরাধীদের সনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।