নিম্নতম মজুরির দাবীতে ট্যানারী শ্রমিকদের বিক্ষোভ,ওভারটাইম কাজ না করার ঘোষণা
মাহমুদুল ইসলাম সাগর,সাভারপ্রতিনিধি :ঘোষনার প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও সরকার কতৃক ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন সাভারের ট্যানারী শ্রমিকেরা। গেজেট প্রকাশের পর ও সেই অনুযায়ী মজুরি না পেয়ে দফায় দফায় কর্মবিরতি, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন শ্রমিকেরা। এতেও যতি দাবি আদায় না হয় তাহলে ওভারটাইম কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা।
শনিবার বেলা প্রায় ১১.৩০ এর দিকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় চামড়াশিল্প নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শ্রমিকেরা। এ সমাবেশে চামড়া শ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের শ্রমিক নেতারা বক্তব্য দেন
তারা বলেন, সাভারের চামড়াশিল্প শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৮ হাজার ১ টাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয় গত বছরে (২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর)। তবেয়াপ্রায় পাঁচ মাস হতে চললেও এর কোন বাস্তবায়ন হয়নি। মালিকপক্ষের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে।
চামরা শ্রমিক সংগঠন (ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন) জানায়, ২০ এপ্রিলের মধ্যে মজুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চামড়াশিল্প মালিকদের সংগঠন, সরকারি কার্যালয়সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে চিঠিও দিয়েছে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। ২০ এপ্রিলের মধ্যে মজুরি বাস্তবায়ন না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এর দায়ভার মালিকদের নিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা মালিকদের বলেছি, আপনারা যদি মজুরি বাস্তবায়ন না করেন, আমরা আমাদের ট্যানারি শ্রমিকদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেব। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তার সঙ্গে। এই সিদ্ধান্তের জন্য যদি এই এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, কোনো দায় ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও ট্যানারি শ্রমিকদের দেওয়া যাবে না।’
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০ এপ্রিলের পরে কী হবে, আমরা বলতে পারছি না। শ্রমিকেরা অনেক ক্ষুব্ধ। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে,কর্মসূচি চলাকালে তাঁরা মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাচ্ছেন না। ইউনিয়নের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমরা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেখব। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরদিন থেকে ওভারটাইমে কাজ বন্ধ থাকবে।’