ভালুকায় ৫ বছরের ধর্ষিতা শিশু আজ মৃত্যুপথযাত্রী
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শিশুটি বাড়ীর পাশে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলায় মেতেছিল। শিশুটি আনারুলের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তেতুলের লোভ দেখিয়ে কৌশলে মেয়েটিকে জনশূণ্য পরিত্যাক্ত একটি ভাঙা বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় মেয়েটির মুখ চেপে ধরে চালায় লোমহর্ষক ধর্ষণ। হঠাৎ মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে শিশুটিকে ছেড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আনারুল। যাওয়ার আগে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে বললে প্রাণে ফেলার হুমকি দেন তিনি।
পরে শিশুটির চিৎকারে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শিশুটি তার নিজ মুখে ঘটনার সমস্ত বিবরণ তুলে ধরেন জনসম্মুখে। পরে তাকে প্রাথমিকভাবে ভালুকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। ভূক্তভোগীর গোপনাঙ্গে আপত্তিকর আঘাত পাওয়ায় ক্ষত তৈরী হয়েছে। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছে। জমাট বাঁধা রক্ত অপারেশনের মাধ্যমে বের না করা হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। চিকিৎসক আরও জানান, শিশুটিকে অজ্ঞান করে অপারেশন করার পর জ্ঞান ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। তার মানে ৫ বছরের ধর্ষিতা বাচ্চা শিশুটি এখন জীবন মরণের অন্তীম অধ্যায়ে অবস্থান করছে।
অপরদিকে জানা যায়, অভিযুক্ত আনারুল টাকার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক দলের নেতার সহযোগীতায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সচেতনমহল জানান, ধর্ষকের প্রকাশ্য শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় তারা এমন অপকর্ম অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। এমন জঘন্য অপরাধ করেও টাকার প্রভাব খাটিয়ে সহজেই পাড় পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকেরা। আনারুলের মত হাজারও ধর্ষক রয়েছে, যারা রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় মুখে ফুকলা হাসি রেখেও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আনারুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।